আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ জুলাই ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

কারসাজির হাতিয়ার লো-পেইড আপের ১৮ কোম্পানি

dse-cseশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি টাকার নিচে অবস্থান করছে। এর স্বল্প পরিশোধিত এসব কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হাতে স্বল্প পরিমাণে প্রায়ই এগুলোকে কারসাজি হয়ে থাকে। যা পুঁজিবাজার সমৃদ্ধির অন্তরায় বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ৪৯ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে বর্তমানে যে নতুন ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো এসেছে সবকটি কোম্পানিই শর্তানুযায়ী ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন দেখিয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু আগে যে কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল সেগুলোর ক্ষেত্রে কোনো আইন না থাকায় তারা সুযোগ পেয়েছিল। ফলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তখন এ ব্যাপারগুলো গুরুত্ব দেয়নি। তাই এসব ব্যাপার নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোটির নিচে কোম্পানিগুলো হচ্ছে: স্টাইল ক্র্যাফট (৫৫ লাখ টাকা), রহিম টেক্সটাইল (৬ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা), মডার্ন ডায়িং অ্যান্ড স্ক্রিণ প্রিন্টিং (১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা), দেশ গার্মেন্টস (৫ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা), রেকিট বেনকিজার (৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা), ফার্মা এইডস (৩ কোটি ১২ লাখ টাকা), লিবরা ইনফিউশন (১ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা), সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ (১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা), সোনালি আঁশ (২ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা), নর্দার্ন জুট (১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা), জুট স্পিনার্স (১ কোটি ৭০ লাখ টাকা), ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস (৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা), জেমিনি সি ফুড (১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা), রেনউইক যজ্ঞেশ্বর (২ কোটি টাকা), মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স (৪০ লাখ টাকা), কে অ্যান্ড কিউ (৪ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা), বিডি অটোকারস (৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) এবং আজিজ পাইপস (৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা)।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, অল্প পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের কারণে এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সহজেই কারসাজি করা যায়। এর ফলে পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক চিত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এগুলোর জন্য পৃথক মার্কেট তৈরি করা হলে কিংবা ওটিসি মার্কেটকে গতিশীল করে এগুলোকে রাখা হলে কারসাজি চক্রের দৌরাত্ম্য কমে যাবে, পাশাপাশি পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.