আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ জুলাই ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

বিনিয়োগকারীর উত্তেজিত প্রশ্ন: হেলাল উদ্দিন নিজামীর জ্বালাময়ী উত্তর

rajsahiশেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আজ ২২ জুলাই রাজশাহীতে “বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্স এবং বিনিয়োগ শিক্ষা মেলা, রাজশাহী ২০১৭” অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাধ্যমে আয়োজিত এই কনফারেন্সে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা। তবে এই প্রশ্ন-উত্তর পর্বে স্থানীয় এক বিনিয়োগকারীর উত্তেজিত প্রশ্নে নিজেই মাইক নিয়ে জ্বালাময়ী উত্তর দেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমিশনার প্রফেসর মো: হেলাল উদ্দিন নিজামী।

বিনিয়োগকারীর প্রশ্ন: আপনারা কি বলেন,আপনারা নিজেই বুঝেন না।  ২০১০ এর আগে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এতো ভালো ভালো বলেছেন, তারপরে আবার বলেছেন এটা কোনো শেয়ারই না,এটাতে ন্যাভ চাইলেই হবে। আপনারা ভেতরে রাখেন একরকম মনে রাখেন একরকম আর বাইরে বলেন আরেক রকম। এতো বেশি আইপিও আসছে,বিনিয়োগের মানুষ নাই। দুদিন পর আবার বলবেন এটার কিছু নাই, ভুয়া কোম্পানি। কে এটা করেছে, কে এটাকে এনেছে?

বিনিয়োগকারীর এরকম উত্তেজিত প্রশ্নে নিজেই উপস্থাপিকার কাছ থেকে মাইক নিয়ে উত্তরে হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, কমিশন একটি কোম্পানিকে বাজারে আসার আগে এটি সকল নিয়ম-কানুন পরিপালন করেছে কিনা সেটা দেখে। বাজারে আসার পর যদি কোনো কোম্পানি বছরের পর বছর লোকসান করে সেটার দায়িত্ব কমিশন পালন করে না। বিশ্বের কোনো কমিশনই এ ব্যাপারে কোনো গ্যারান্টি দেয় না। কমিশনের কোনো কর্মকর্তাই কোম্পানির পরিচালনার দায়িত্ব নেয় না। এটার দায়িত্ব ইস্যুয়ার কোম্পানির, ইস্যু ম্যানেজারের। তবে এই অনিয়ম বন্ধে অডিটরদের শাস্তির আওতায় এনেছে কমিশন। আগে ১০০-১৫০ অডিটর ছিলো কমিশন তা বন্ধ করে দিয়েছে। মাত্র ৩০টি ফার্মকে অডিট করার জন্য কমিশন নির্ধার‌ণ করে দিয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল রিপোটিং কাউন্সিল গঠন করে অডিটরদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত কোনো আইপিওকে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাখান করেননি। ‍উপরন্তু ৪০ গুন বেশি আবেদন করেছেন। যদি বিনিয়োগকারীরা কোনো আইপিও প্রত্যাখান করতো তাহলে আন্ডাররাইটাররা তা হজম করতো। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়তো। তখন কোম্পানি আসার আগে তারা আরো দায়িত্ববান হতেন। বর্তমান কমিশন অনেক আইন পরিবর্তন করেছে, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন করেছে।

১৯৯৬ ও ২০১০ সালে মার্কেট ধসের যেসব কারণ ছিল তার একটিও গত ছয় বছরে ঘটেনি। আগের কমিশনের কর্মকর্তারা অনিয়মে সম্পৃক্ত ছিল। আমরা গ্যারান্টি দেবো এই মার্কেটে আর কোনোদিন ৯৬’ বা ২০১০ ঘটবে না। আগামী এক দশকে, পাঁচ বছরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা ইতিহাস মূল্যায়ন করবে। ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের কারণে আগে যারা স্টক এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করতো তারা কেউ আজকে সার্ভিল্যান্স বিভাগে ঢুকতে পারে না। আজকে বাজার অনেক স্ট্যাবল।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.