আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ জুলাই ২০১৭, মঙ্গলবার |

kidarkar

ফের চালু হচ্ছে সিটিসেল

Citycellশেয়ারবাজার ডেস্ক: ফের চালু হচ্ছে দেশের প্রথম বেসরকারি মোবাইল সিম অপারেটর সিটিসেল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিটিসেলের সংযোগ চালুর নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

 বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিটিআরসি) বিরুদ্ধে সিটিসেলের করা আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

সিটিসেলের লাইসেন্স পুনর্বহালেরও আদেশ দিয়ে আগামী ০৬ আগস্ট আদালত অবমাননার বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

দেশের প্রথম বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স সোমবার (২৪ জুলাই) বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি।

সিটিসেলের কাছে পাওনা না দেওয়ায় গত বছরের ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল বিটিআরসি।
এরপর ২৪ অক্টোবর তরঙ্গ বরাদ্দ খুলে দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানায় সিটিসেল। মোবাইল ফোন অপারেটরটির আইনজীবীরা সেদিন দাবি করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে বিটিআরসি ও এনবিআরের ১৪৪ কোটি টাকা শোধ করা হয়েছে। এরপরও তরঙ্গ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

এ আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ০৩ নভেম্বর ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের শর্ত সাপেক্ষে মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ অবিলম্বে খুলে দেওয়ার আদেশ দেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। ওইদিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করা হলে বিটিআরসিকে ফের তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধ করতেও বলেন সর্বোচ্চ আদালত।

এরপর অর্থ পরিশোধ সত্ত্বেও এ আদেশ না পালনের অভিযোগে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন জানায় সিটিসেল।

আদালতে বিটিআরসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, কামরুল হক ও খন্দকার রেজা-ই রাকিব। সিটিসেলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করিম।

গত বছরের ৩১ জুলাই পৌনে ৫শ’ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকা সিটিসেল গ্রাহকদের ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেয় বিটিআরসি, যা পরে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এরপর গত বছরের ১৭ আগস্ট একমাসের শো’কজ নোটিশ দিয়ে সিটিসেলকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। তবে ২৩ আগস্ট সিটিসেলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ, অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিলো। এর মধ্যে সিটিসেলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২২ আগস্ট বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া শো’কজ নোটিশের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিটিআরসি।

গত বছরের ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগ বিটিআরসি’র ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা পাওনা পরিশোধে সিটিসেলকে দু’মাস সময় দেন। এর মধ্যে প্রথম মাসে তিন ভাগের দুই ভাগ ও দ্বিতীয় মাসে বাকি টাকা দেওয়ার আদেশ দেন।

বিটিআরসি’র একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, আদালতের  এসব আদেশেও সম্পূর্ণ পাওনা না দেওয়ায় সরকারের অনুমোদনের পরে সোমবারের কমিশন বৈঠকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.