ঋণ প্রবাহ কমানো ও আর্থিক খাতে মুনাফা বৃদ্ধির প্রভাবে ঊর্ধ্বমূখী বাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিগত অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ থাকলেও নতুন মুদ্রানীতিতে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও প্রথম ঘন্টা পর সেল প্রেসারে নামতে থাকে সূচক। এবং দুই ঘন্টা পর ৫ খাতের বাই প্রেসারে টানা বাড়তে থাকে সূচকে। খাতগুলো হলো: ব্যাংক, প্রকৌশল, পাওয়ার, বীমা, বিবিধ এবং বস্ত্র। বুধবার সূচকের পাশাপাশি প্রায় ৫৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৮২৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩১৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২১৩১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, কমেছে ৯৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৬৩৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯ হাজার টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৮০১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৩৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩১২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১২৪ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৬৫৬ কোটি ১৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৭ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ৮০টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু