আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ এপ্রিল ২০১৫, বুধবার |

kidarkar

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না

nbrশেয়ারবাজার রিপোর্ট: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিনিয়োগে মন্দাভাবসহ নানা কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের রাজস্ব আদায়ে। তাই নির্ধারিত সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। আর এ কারণেই চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কাটছাঁট হতে যাচ্ছে।

লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে সংশোধিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৫ থেকে ৩৬ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে, যেখানে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রাজস্ব ঘাটতি সামলাতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশেই এই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেলে খুব শিগগিরই আনুষ্ঠনিক ঘোষণা দেবে এনবিআর।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের গতি পর্যবেক্ষণ করলেই রাজস্ব আদায়ের নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এনবিআর আদায় করেছে ৯২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। অর্থ্যাৎ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। যদিও এটা এনবিআরের সাময়িক হিসাব। চূড়ান্ত হিসাবে ঘাটতি আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে চলতি বছরের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে প্রবৃদ্ধিতে পিছিয়ে রয়েছে এনবিআর। চলতি অর্থবছরে গড় প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ ধরা হলেও ৯ মাসে গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ।

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেলেও ঠিক কত কমানো হবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। একটি সূত্র থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা কমে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্য আরো একটি সূত্র থেকে রাজস্ব আদায়ের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে সরকার আয়করের ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে আয়কর আদায়ে বিশাল অঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার যৌক্তিকতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাবদ প্রায় ৫৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমদানি শুল্ক ও অন্যান্য বাবদ রাজস্ব আয় নির্ধারণ করেছে ৩৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজস্ব আয়ের সকল ক্ষেত্রও দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। কারণ বিনিয়োগ না বাড়লে দেশে উৎপাদন বাড়ে না। পণ্য উৎপাদন না হলে সরকার কর বা ভ্যাট কীভাবে পাবে। এজন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়ানো জরুরি।

গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরেও মাঝপথে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হয়েছিল। বিগত বছর ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার কমিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

শেয়ারবাজারনিউজ/তু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.