আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ জুলাই ২০১৭, শুক্রবার |

kidarkar

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিচ্ছে ইউরোদেশ গ্রুপ

suridশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটে উৎপাদনে না থাকা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে ব্রয়লার ও মাছের খাদ্য উৎপাদনকারী ইউরোদেশ গ্রুপ।

গতকাল সন্ধা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ সভায় ইউরোদেশ গ্রুপের কাছে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হস্তান্তর সংক্রান্ত খসড়া চুক্তি পত্র অনুমোদন হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে ইউরোদেশ গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ।

কোম্পানি সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটের কারণে সুহৃদের উৎপাদন নেই। তাই কোম্পানিটিকে বাঁচাতে এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছে ইউরোদেশ গ্রুপ। তাই এ সংক্রান্ত খসড়া চুক্তিপত্র অনুমোদন করেছে সুহৃদের পরিচালনা পর্ষদ। শিগগিরই ইউরোদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এতে সুহৃদের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করবে ইউরোদেশ গ্রুপ।

উল্লেখ্য, ইউরোদেশ গ্রুপ মূলত পোল্ট্রি ও মাছের খাদ্য উৎপাদন করে। এর প্রধান উদ্যোক্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান।

এর আগে চলতি বছরের শুরুতে অর্থাৎ গত ১১ জানুয়ারি গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টার সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেন সুহৃদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল ইসলাম।  কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাধ্য হয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ইউরোদেশ গ্রুপের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর কোনাবাড়ির বাইমাইকেলে কোম্পানিটির কারখানা। কারখানায় আমদানি বিকল্প ফার্মা গ্রেড পিভিসি সিট, প্লাস্টিক ডিসপোজিবল প্রোডাক্ট এবং পিভিসি পাইপ উৎপাদন করা হতো।

কোম্পানিটি জানায়, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটের কারণে উৎপাদন না থাকায় কারখানার মূল্যবান মেশিনারিজ নষ্ট হতে বসেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিয়েই সঙ্কটের সমাধান সম্ভব হয়নি।

 ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ৯০.৬০ শতাংশ শেয়ারই সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে। উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে কোম্পানিটির মাত্র ৯.৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

২০১৪ সালে ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিলেও পরের দুই বছর লোকসানের কারণে কোন প্রকার ডিভিডেন্ড প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.