মরিচিকায় পরিণত হয়েছে শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সকালের পূর্বাভাস কখনই শেষের পরিণতি বোঝায় না। কারণ সকালে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উর্ধ্বমূখী প্রবণতায়। এসময় অধিকাংশ কোম্পানিরই শেয়ারদর বেড়েছিল। কিন্তু গতকালের মতো আজো উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শেষ হয়েছে সূচকের ব্যাপক পতনের মধ্য দিয়ে।
যদিও গতদিনের তুলনায় আজ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই লেনদেন বেড়েছে। কিন্তু লেনদেন বাড়লেও দিনশেষে অধিকাংশ কোম্পানিরই শেয়ারদর কমেছে।
এ বিষয়ে ডিএসই এবং সিএসই এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন মন্তব্য করতে পারেননি।
তবে একাধিক ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, বর্তমান বাজারে কেনার চেয়ে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি। বিশেষ করে এক্সপোজার লিমিটের কারণে অধিকাংশ ব্যাংকই শেয়ার বিক্রি করার জন্য মুখিয়ে আছে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র এক বছর বাকি আছে। এ সময়ের মধ্যে তাদেরকে এক্সপোজার লিমিট নির্ধারিত সীমায় নিয়ে আসতে হবে। বর্তমান বাজারে এরই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ চাপ থেকে বেরোতে না পারলে যতই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকুক বাজারে স্থিরতা আসবে না।
আজ পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি সূচকের পতন ঘটেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। তবে সিএসই-তে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা বেড়েছে। আজ সিএসই-তে মোট লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এদিকে দিনশেষে সিএসই-তে সিএসসিএক্স সূচক ১০৫.৪৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৭৯৪৭.৮৮ পয়েন্টে। দিনভর সিএসইতে মোট ২৩৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ১৪৬টির আর অপরিবর্তীত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ার দর।
অপরদিকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৮৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বেড়েছে। আজ ডিএসই-তে মোট লেনদেন হয়েছে ৫২৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৩০.৩০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪২৫২.৯৪ পয়েন্টে। দিনভর ডিএসইতে মোট ২০৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ১৮৭টির আর অপরিবর্তীত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার এবং ওয়েস্টার্ন শিপইয়ার্ড। আর সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের, ওয়েস্টার্ন শিপইয়ার্ড এবং মবিল যমুনার।
শেয়ারবাজার/তু/অ