আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ অগাস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার |

kidarkar

ফের চাঙ্গা সি এন্ড এ টেক্সটাইল

cna-textilesশেয়ারবাজার রিপোর্ট: চলতি বছরের জুন মাসের শেষ থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের সি এন্ড এ টেক্সটাইলের শেয়ার দরে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। এরপর কিছুদিন ঝিমিয়ে থাকার পর ফের আজ স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ারে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। এর জেরেই ডিএসই’র টার্নওভারের (লেনদেন) দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠেছে কোম্পানিটির শেয়ার। পাশাপাশি শেয়ার দর বাড়ায় গেইনারের তৃতীয় অবস্থানে উঠেছে কোম্পানিটি।

এদিন কোম্পানিটির মোট ৪৫ কোটি ৭৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকার ৩ কোটি ৬৯ লাখ ২৪ হাজার ১০টি শেয়ার ৫ হাজার ২০৪বার হাতবদল হয়েছে। যা চলতি বছরে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ লেনদেন।

এদিকে আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৯০ টাকা বা ৭.৬৯ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারের প্রারম্ভিক মূল্য ১১.৭০ টাকা এবং ১২.৬০ টাকায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে ব্লক মার্কেটেও আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির মোট ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার ২ লাখ শেয়ার ১১.৮০ টাকায় একবার লেনদেন হয়েছে।

উল্লেখ্য,  ১৯ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার ৮.৮০ টাকা থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে ১২.৩০ টাকা হয়েছে। এর জন্য ডিএসই থেকে কারণ জানতে চাওয়া হলে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছিল কোম্পানিটির পর্ষদ। মাঝখানে বিরতি দিয়ে আজ ফের শেয়ার দর বেড়েছে।

প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৭ জুন কোম্পানিটি ডিএসই-কে জানায়, বিশ্বখ্যাত পোশাক ক্রেতা জোট একোর্ড এবং অ্যালায়েন্সের শর্তমতে কারখানার সংস্কার কাজ চলছে। তাই সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ থাকবে। তবে বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাইজে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলাপ কালে জানা যায়, কোম্পানিটির উৎপাদন শুরুর ঘোষণা শিগগিরই দেওয়া হবে এমন গুজব রয়েছে। তাছাড়া কোম্পানির ব্যবসা বাড়াতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে গুজব রয়েছে।

জুন ক্লোজিং কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত পর্ষদ সভার তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.১০ টাকা। যা এর আগে ছিল ০.২৭ টাকা। ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৫৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা। দেখা যাচ্ছে তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ৬৩ শতাংশ এবং ৯ মাসে ৪৬ শতাংশ কমেছে।

২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.