আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ অগাস্ট ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

নগদ অর্থের সংকটে ৮ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

artho-songkotশেয়ারবাজার রিপোর্ট: আমানত প্রবৃদ্ধির চেয়ে ঋণ প্রবৃদ্ধি বেশি হওয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮টি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ প্রকাশিত ২০১৭ বছরের অর্ধবার্ষিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

কোন কোম্পানির কাছে কি পরিমাণ নগদ অর্থ আছে তা অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। একাধিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে যাওয়া মানে ওই ব্যাংকটিতে নগদ অর্থের সংকট তৈরি হওয়া। শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) যত বেশি ঋণাত্মক, নগদ অর্থের সংকটও তত বেশি। এ অবস্থা তৈরি হলে চাহিদা মেটাতে ব্যাংকটিকে চড়া মাশুলে স্বল্প মেয়াদে টাকা ধার করতে হয়। তাতে খরচ বাড়ে। আর খরচ বাড়লে আয় কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক।

তারা আরো বলেন, শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রে যেকোনো কোম্পানির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লোও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। এটির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আর্থিক অবস্থার ধারণা পাওয়া যায়। ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক মানে ওই কোম্পানির কাছে নগদ অর্থের ঘাটতি রয়েছে। আর ক্যাশ ফ্লো ইতিবাচক মানে হলো ওই কোম্পানির হাতে উদ্বৃত্ত তহবিল রয়েছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৬ মাসে সবচেয়ে বেশি নগদ অর্থের ঘাটতি রয়েছে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ৪.১৯ টাকা ঋণাত্মক। অথচ এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ১.০৪ টাকা ঋণাত্মক ছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটি অর্থের ঘাটতি বেড়েছে ৩.০৫ টাকা।

এরপরই নগদ অর্থের সংকটে রয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ৩.৯০ টাকা ঋণাত্মক। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ৪.০৬ টাকা ঋণাত্মক ছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় কোম্পানির অর্থের ঘাটতি কমেছে ০.১৬ টাকা।

জিএসপি ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ৩.৭১ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ছিল ২.৩৭ টাকা ঋণাত্নক। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় কোম্পানির অর্থের ঘাটতি বেড়েছে ১.৩৪ টাকা।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ২.৬৫ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ছিল ১১.৩৭ টাকা ঋণাত্নক। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি কমেছে ৮.৭১ টাকা।

ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ০.২৪ টাকা ঋণাত্নক। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ছিল ৩.৪১ টাকা ঋণাত্নক। অর্থাৎ অর্থের ঘাটতি কমেছে ৩.১৩ টাকা।

ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ০.২৯ টাকা ঋণাত্নক। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ছিল ১.৫৪ টাকা ঋণাত্নক। অর্থাৎ ঘাটতি কমেছে ১.২৫ টাকা।

ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি রয়েছে ০.০৪ টাকা ঋনাত্নক। অথচ এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ছিল ০.৫৬ টাকা ঋণাত্নক। অর্থাৎ আগের তুলনায় কোম্পানির ঘাটতি রয়েছে ০.৫২ টাকা।

উত্তরা ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ০.৬৩ টাকা ঋণাত্নক। অথচ এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থ ছিল ২৪.৯৯ টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর

উত্তর দিয়ে যান Anonymous মতামত বাতিল করুন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.