আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ অগাস্ট ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

ভুল করে আবিষ্কার হয়েছিল যে জিনিসগুলো!

potatoশেয়ারবাজার ডেস্ক: সবসময় সঠিক কাজ করলেই তবে সুনাম পাওয়া যায়। কিন্তু ভুলের জেরেও কেউ কেউ বিখ্যাত হয়ে যেতে পারেন। এমন বহু জিনিস রয়েছে যা আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। আবার কিছু জিনিস রয়েছে যা দৈনন্দিন প্রয়োজনে না এলেও এর গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু অবাক হয়ে যাবেন যখন জানবেন সেই অতি পরিচিত জিনিসগুলির আবিষ্কার কীভাবে হয়েছে।

ভুলের মাঝেই তৈরি হয়ে গিয়েছে এমন কিছু জিনিস যা আমাদের কাছে শুধু পরিচিত নয় মানবজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও বটে। চোখ বুলিয়েই দেখে নিন ভুলের মাঝে তৈরি হওয়া সেসব জিনিস গুলোঃ

১। আলুর চিপসঃ আবিষ্কার করেছিলেন জর্জ ক্রাম। তিনি সাধারণ আলুভাজা তৈরি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু একদিন এক কাস্টমার প্লেটভর্তি আলুভাজা ফেরত পাঠিয়ে দেন। বলেন, তিনি আরও পাতলা ও ভাজা ভাজা আলু চান। তিন-চারবার এইভাবে ফেরত পাঠানোর পর মেজাজ হারান ক্রাম। ভয়ানক পাতলা করে আলু কেটে তা গরম তেলে একেবারে কুড়কুড়ে করে ভাজেন ক্রাম। এভাবেই সৃষ্টি হয়েছিল আলুর চিপস।

২। মাইক্রোওয়েভ ওভেনঃ পার্সি স্পেনসার নামের এক ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ ওভেন ভুল করে আবিষ্কার করে ফেলেন। একদিন স্পেন্সার রেডার সম্পর্কিত একটি গবেষণা করছিলেন একটি নতুন ভ্যাকুম টিউব দিয়ে। হঠাৎ তিনি দেখেন তার পকেটে রাখা ক্যান্ডি বারটা গলতে শুরু করে। তখনই স্পেনসার বুঝতে পারেন একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার ততক্ষণে তিনি করে ফেলেছেন।

৩। ইঙ্ক জেট প্রিন্টারঃ ক্যাননের এক ইঞ্জিনিয়ার ভুল করে গরম ইস্ত্রি নিজের কলম এর উপর রেখে দিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই কলমের মুখ থেকে কালি বেরতে শুরু করে। আর এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই আবিষ্কার করা হয় ইঙ্ক জেট প্রিন্টারের।

৪। আতশবাজিঃ রান্নাঘরে আবিষ্কার হয়েছে আতশবাজির ভাবতে পারেন? চিনে একটি রেস্তোরাঁর কিচেনে এক শেফ পরীক্ষানিরিক্ষা করছিলেন। তখন বাঁশের মধ্যে উপকরণ ঢুকিয়ে রান্না করার যুগ ছিল। ওই শেফ কাঠকয়লা, সালফার এবং সল্টপিটার নামে একটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বাঁশের মধ্যে ঢোকানোর চেষ্টা করেন। ব্যস বিস্ফোরণ।

৫। কর্ন ফ্লেক্সঃ জন এবং উইল, দুই কেলগ ভ্রাতা ভুলবশত কর্ন ফ্লেক্স-এর আবিষ্কার করে ফেলেন। রোগীদের জন্য শস্যদানা সিদ্ধ করার জন্য আঁচে রেখে যান। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে দেখেন শস্যদানাগুলির জরাজীর্ণ অবস্থা। শস্যদানা ফেলে না দিয়ে উইল ভেবেছিলেন বেলন দিয়ে বেলে নিয়ে রুটির মতো বানিয়ে দেবেন। কিন্তু তৈরি হয়ে গেল ফ্লেক্স। তারপর তা টোস্ট করেই রোগীদের খেতে দেওয়া হয়েছিল। এভাবেই তৈরি হয় কর্ন ফ্লেক্স। সূত্রঃ বিজনেস ইনসাইডার।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.