আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ অগাস্ট ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে ইজিএমের তারিখ ঘোষণা করলো সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ

suridশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুরাতন পরিচালক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিদায় জানিয়ে নতুনদের নির্বাচিত করার জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লি:। এর জন্য বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) তারিখ ঘোষণা েকরেছে কোম্পানিটি।

গত ১০ আগস্ট বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ইজিএমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটি জানায়, আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ১১টায় গাজিপুর কোনাবাড়ির বাইমাইলে কোম্পানিটির কারখানা প্রাঙ্গনে ইজিএম হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর।

ইজিএমের এজেন্ডায় বলা হয়েছে, কোম্পানিটির বর্তমান ৩জন শেয়ারধারী পরিচালক এবং ২ স্বতন্ত্র পরিচালকের পদত্যাগ অনুমোদন করা হবে। তার জায়গায় ৩জন নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি কোম্পানিটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদত্যাগ অনুমোদন করা হবে। এছাড়া কোম্পানিটির সংঘ স্মারক বিধি পরিবর্তনের অনুমোদন নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটের কারণে সুহৃদের উৎপাদন নেই। তাই কোম্পানিটিকে বাঁচাতে এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছে ইউরোদেশ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইউরোদেশ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি:। তাই উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইউরোদেশের প্রধান উদ্যোক্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান।

এর আগে চলতি বছরের শুরুতে অর্থাৎ গত ১১ জানুয়ারি গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টার সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেন সুহৃদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল ইসলাম।  কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাধ্য হয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ইউরোদেশ গ্রুপের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর কোনাবাড়ির বাইমাইকেলে কোম্পানিটির কারখানা। কারখানায় আমদানি বিকল্প ফার্মা গ্রেড পিভিসি সিট, প্লাস্টিক ডিসপোজিবল প্রোডাক্ট এবং পিভিসি পাইপ উৎপাদন করা হতো।

কোম্পানিটি জানায়, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটের কারণে উৎপাদন না থাকায় কারখানার মূল্যবান মেশিনারিজ নষ্ট হতে বসেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিয়েই সঙ্কটের সমাধান সম্ভব হয়নি।

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ৯০.৬০ শতাংশ শেয়ারই সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে। উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে কোম্পানিটির মাত্র ৯.৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

২০১৪ সালে ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিলেও পরের দুই বছর লোকসানের কারণে কোন প্রকার ডিভিডেন্ড প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.