চাপ সামলালো ব্যাংক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন শুরু থেকেই ব্যাংক খাতের ক্রয় প্রেসারে বাড়তে থাকে সূচক। রোববার সূচক বাড়লেও ৫৯.৮৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৭৭ কোটি টাকা।
আজকের বাজারে অন্যান্য খাতগুলোতে ব্যপক সেল প্রেসার থাকলেও উল্টো চিত্র দেখা যায় ব্যাংক খাতে। আর এই তিন খাতের উপর ভর করে বাজারে উত্থান ঘটেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনের ধারবাহিক উত্থানের পর মুনাফাভোগী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। মুনাফা তুলে নিলেও বাজারের প্রতি আস্থা থাকায় সূচক বাড়ছে বলে মনে করছেন তারা।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৯২১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩১১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.৩১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২১২৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১৯৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৭৭৭ কোটি ৯১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৯০১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৩১৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২১২৫ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৯৬১ কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৮৪ কোটি ১ লাখ ২২ হাজার টাকা।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ১০৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ১৫২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি ৮৫ লাখ ২১ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু