চুল পাকা দূর করবে আলুর খোসা!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: গবেষকদের মতে, অকালে চুল পাকার তেমন কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই। তবে আমাদের শরীরে জিন বা বংশগতির প্রভাবে অকালে চুল পাকতে পারে। এছাড়াও ভিটামিন বি-১২ অভাবে পিটুইটারি হরমোন অথবা থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলে কম বয়সে চুল পাকে।
সাময়িক সমাধান হিসেবে অনেকে চুলে কলপ ব্যবহার করে থাকেন। তবে এতে চুল একেবারে কালো হয় না। তার পাশাপাশি কলপের উপাদান নিম্নমানের হলে তা মাথার চামড়ার ক্ষতি করতে পারে। অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। অথচ, প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে থাকা নানা উপাদান দিয়ে চুলের অকালপক্কতার চিকিৎসা উপকরণ তৈরি করা সম্ভব।
আসুন চুল পাকা রোধের কয়েকটি উপায় দেখে নেয়া যাক –
আলুর খোসা : আলুর খোসা কেটে এখন থেকে আর ফেলে দেয়ার চিন্তা করবেন না। আলুর খোসা প্রত্যেক ঘরের রান্নাঘরের প্রতিদিনের আয়োজন। চুল পাকা প্রতিরোধে এটি খুব ভাল কাজে আসে। ২ কাপ পানির মাঝে আলুর খোসা সেদ্ধ করে নিন। এরপর ঠাণ্ডা করে মাথার চুল ও ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে ৩০ মিনিট রাখার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
আমলকি ও লেবুর রস মিশ্রণ : আমলকি ও লেবু এই দুটো ফলের পুষ্টি গুণ অত্যন্ত বেশি। শরীরের মেদ কমানো, হৃদপিন্ডের সমস্যা ইত্যাদি অভ্যন্তরীণ সমস্যার পাশাপাশি চামড়ার ইনফেকশন এবং মাথার চামড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগান দেয়ার ক্ষেত্রে এই দুটো ফলের জুড়ি নেই। তাই অকালে চুল পাকা রোধের জন্য বাজার থেকে আমলকির গুঁড়া কিনে এনে তা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে মাথার চামড়ায় ম্যাসাজ করুন, তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজ বাটা : মশলা হিসেবে বাংলাদেশে কমবেশি সব রান্নাঘরেই পেঁয়াজ থাকে। আর পেঁয়াজ বাটা চুল পাকা রোধের অত্যন্ত কার্যকরী অস্ত্র। পেঁয়াজ ভালোমত বেটে নিয়ে প্রতিদিন কিছুক্ষণ মাথার চামড়ায় ও চুলে ম্যাসাজ করলে এবং চুলে পেঁয়াজ বাটা শুকিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পাকাচুল কালো হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজাতে শুরু করবে।
ঘি: চুল পাকা প্রতিরোধে ঘি অনেক ভাল কাজ করে। তবে এজন্য ঘরে বসে নিজ হাতে ঘি তইরি করে নিবেন। এরপর তেলের মত চুলে ব্যবহার করুন। এর উপকারিতা নিজেই বুঝতে পারবেন।
গাজরের রস : গাজর একটি পুষ্টিকর সবজি উপাদান। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের সিংহভাগ গাজর একাই পূরণ করার ক্ষমতা রাখে। চুলের যত্নেও গাজর বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তাই বাজার থেকে গাজর কিনে এনে সেটিকে ব্লেন্ডারে পানি, চিনি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। গাজরের যে জুস পাওয়া যাবে, সেটি নিয়মিত পান করুন। প্রতিদিন অন্তত একগ্লাস করে গাজরের রস পান করলেই আপনার পাকা চুলের প্রতিকার পাওয়া শুরু করবেন। শুধু চুল নয়, সেইসাথে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতেও এই গাজরের জুস সাহায্য করবে। আর ত্বক হবে উজ্জ্বল লাবন্যময়।
এছাড়াও চুল ভাল রাখতে নিয়মিত ভাল ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে হবে। প্রচুর শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করতে হবে। বাজারে পাওয়া বিভিন্ন জেল, কালার, ক্রিম, স্প্রে ও সিরাম ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া যখন চুল পাকতে শুরু করবে তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু