আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ অগাস্ট ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

স্থগিতাদেশ বাতিল: ফার্স্ট ফিন্যান্সের এজিএমে আর বাধা নেই

first_financeশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট ফিন্যান্সের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে আপিল বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠানে বাধা দূর হয়েছে।

এর আগে সঞ্চিতি ঘাটতি সত্ত্বেও ডিভিডেন্ড ঘোষণার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একজন শেয়ারহোল্ডারের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ফার্স্ট ফিন্যান্সের এজিএম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।

কোম্পানিটির পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে গত ১০ আগস্ট হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ। গতকাল দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের এ তথ্য দেয় ফার্স্ট ফিন্যান্স।

এ বিষয়ে ফার্স্ট ফিন্যান্সের কোম্পানি সচিব সরওয়ার শফিক শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, আমাদের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এজিএম অনুষ্ঠানে এর আগে হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের স্থগিতাদেশ বাতিল করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে এখন এজিএম অনুষ্ঠানে আর কোনো বাধা নেই। শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থরক্ষায় শিগগিরই পর্ষদ সভা করে এজিএমের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে পূর্ববর্তী রেকর্ড ডেট অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানান তিনি।

গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ২০১৬ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড সুপারিশ করে ফার্স্ট ফিন্যান্স। এ সময় শেয়ারপ্রতি ০.৪৩ টাকা আয় (ইপিএস) দেখায় কোম্পানিটি, আগের বছর যা ছিল মাত্র ০.০৮ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৩.৫০ টাকা।

উল্লেখ্য, এর আগে আনোয়ারুল ইসলাম নামের একজন সাধারণ শেয়ারহোল্ডার সঞ্চিতি ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও ডিভিডেন্ড ঘোষণার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন বুধবার ৬ মাসের জন্য কোম্পানির এজিএম স্থগিত করেন উচ্চ আদালত।

এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব জানান, সঞ্চিতি ঘাটতি থাকলে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ রয়েছে। বর্ধিত সময়ের মধ্যে সঞ্চিতি ঘাটতি পূরণের শর্তে আমরা স্টক ডিভিডেন্ডের পরিকল্পনায়ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেই। কারণ এ ডিভিডেন্ডটুকু না দিলে স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতেই পড়ে থাকবে, যা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতির কারণ হতে পারত। আমরা আদালতকে বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) শেয়ারপ্রতি ০.৪৭ টাকা লোকসান দেখিয়েছে ফার্স্ট ফিন্যান্স। অবশ্য আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান আরো বেশি ছিল; ১.৫৫ টাকা। তাছাড়া, এপ্রিল-জুন (দ্বিতীয়) প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ০.৩৫ টাকা মুনাফা দেখিয়েছে কোম্পানিটি, যেখানে ২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ০.৫০ টাকা লোকসান হয়েছিল।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.