শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ থেকে আগস্টের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার দরে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেনে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। এর জেরেই ডিএসই’র টার্নওভারের (লেনদেন) দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠেছে ব্যাংকটির শেয়ার। পাশাপাশি শেয়ার দর বাড়ায় গেইনারের তৃতীয় অবস্থানে উঠেছে ব্যাংকটি।

এদিন ব্যাংকটির মোট ৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার টাকার ৯৮ লাখ ৩৮ হাজার ৭১টি শেয়ার ২ হাজার ৮৩০বার হাতবদল হয়েছে। যা চলতি বছরে ব্যাংকটির সর্বোচ্চ লেনদেন।

এদিকে আজ ব্যাংকটির শেয়ার দর ১.৯০ টাকা বা ৬.০৫ শতাংশ বেড়েছে। ব্যাংকটির শেয়ারের প্রারম্ভিক মূল্য ৩১.৪০ টাকা এবং ৩৩.৩০ টাকায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে।

উল্লেখ্য,  ৩০ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ার ২৫.১০ টাকা থেকে ৮.৭০ টাকা বা ৩৫ শতাংশ বেড়ে ৩৩.৮০ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ দর উঠেছে। এর জন্য ডিএসই থেকে কারণ জানতে চাওয়া হলে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়ে ব্যাংকটির পর্ষদ।

উল্লেখ্য, অর্ধবার্ষিকে উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.০৩ টাকা, শেয়ার প্রতি সমন্বিত কার্যকারী নগদ প্রবাহের পরিমাণ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ৩.৪৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩৩.৬০ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২.০৭ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ৮.৭৭ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৬, সমাপ্ত অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ৩২.৮৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ০.০৪ টাকা।

এছাড়া গত তিন মাসে অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ১৭) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৩২ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে আয় ছিল ১.৩৩ টাকা।

১৯৮৪ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের সর্বশেষ ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা যা ৪০ কোটি ৮০ হাজার ৩৩৭টি শেয়ারে বিভক্ত। এর ১২.৫৮ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে, ২৬.৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কাছে, ২.২২ শতাংশ বিদেশিদের মহাতে এবং বাকী ৫৮.৮০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ