আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ অগাস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ভারতকে পর্যুদস্ত করার সক্ষমতা আছে চীনের

chinশেয়ারবাজার ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতে দেশটিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং বিমান ঘাঁটির মাধ্যমে পর্যুদস্ত করার অতিমাত্রায় সক্ষমতা চীনের আছে। চীনা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে একটি নিবন্ধে এ দাবি করেছে দেশটির সরকারি দৈনিক গ্লোবাল টাইমস। ‘চায়না ক্যাপেবল অব ডিফিটিং ইন্ডিয়া: এক্সপার্ট’ শীর্ষক নিবন্ধে এ দাবি করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, মানের দিক থেকে সাধারণ ভাবে চীনের অস্ত্র এবং সেনারা ভারতের চেয়ে অনেক ভাল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমেরিকা ও রাশিয়ার কিছু অস্ত্র নয়াদিল্লির কেনা সত্ত্বেও চীনের গণমুক্তি ফৌজ বা পিএলএ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ দাবি করেন পিএলএর রকেট বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ সং জায়োনপিং।

পার্বত্য অঞ্চলে এবং সমতলভূমিতে লড়াইয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিমান বাহিনী, হেলিকপ্টার, আক্রমণের কাছে ব্যবহার যোগ্য দূরপাল্লার অস্ত্র এবং সাঁজোয়া যানবাহন। আকাশ যুদ্ধের জন্য চীনের জে-১০সি এবং জে-১১ যুদ্ধবিমান বহর, এইচ-৬কে বোমারু বিমান বহর, জেড-১০ আক্রমণে ব্যবহারযোগ্য হেলিকপ্টার বহরসহ পরিবহনের কাজে ব্যবহারযোগ্য অন্যান্য হেলিকপ্টার বহর রয়েছে চীনের।

সং বলেন, গুণে-মান এবং সংখ্যার বিচারে এ সবই ভারতের তুলনায় বেশ ভাল। চীনের দূরপাল্লার রকেট কেবল ভারতের তুলনায় ভালই নয় বরং এগুলো বিশ্বের সর্বোত্তম। এতে দিকনির্দেশক ব্যবস্থা বসানো আছে এবং আক্রমণের আগে লক্ষ্যবস্তু খুঁজে নিতে পারে।

এ ধরণের একটি রকেটের দাম এক লাখ চার হাজার পাঁচশ ৫৫ ডলার। এ সত্ত্বেও এটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও সস্তা। এ সব রকেটের পাল্লা ১০৫ কিলোমিটার। এ ধরণের অস্ত্রের সামনে পর্বতমালা বা সমতলভূমির মতো ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতাকে আর কোনো বাধা হিসেবে গ্রাহ্য করা হয় না। সং বলেন, এ দিয়ে পিএলএ সহজেই শত্রু ধ্বংস করতে পারবে। ভারত হয়ত ভাবতে পারে যে তিব্বত এলাকায় চীনা বিমান বাহিনীর পর্যাপ্ত বিমানঘাঁটি নেই।

সু নামের অপর এক চীনা বিশেষজ্ঞ বলেন, এমনটি ধারণা করলে মারাত্মক ভুল করা হবে। প্রকাশ্য তথ্য থেকে জানা যায় যে তিব্বত অঞ্চলে চীনের অন্তত পাঁচটি বিশাল বিমানবন্দর রয়েছে। এদের মধ্যে ডোকালাম থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী বিমানবন্দরটি মাত্র ১০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জে-১০সি এবং জে-১১ যুদ্ধবিমান বহরের পাল্লা ১২০০ কিলোমিটার। কাজেই তিব্বত নিয়ে ভুল ধারণা পরিত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া, তিব্বতের বেসামরিক বিমানবন্দরগুলোও সামরিক বিমানের জন্য ব্যবহার করা যাবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য চীনের অনেক প্রদেশেই ব্লাডব্যাংকের রক্তের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং ব্যাংকের রক্তের আমানত বাড়ানো হচ্ছে।

কোনো ব্লাড ব্যাংককে নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত করেছে পিএলএ। এ ছাড়া, ব্যাপক পরিমাণে রক্তের মজুদ তিব্বত এলাকায় হয়ত সরিয়ে নেয়া হবে। পাশাপাশি হুবাই এবং গুয়ানংসি জুয়াং প্রদেশের শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালগুলোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.