আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২১ অগাস্ট ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

খালেদা জিয়া একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় এড়াতে পারেন না: হানিফ

hanifশেয়ারবাজার ডেস্ক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার দায় এড়াতে পারেন না।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিএনপি সরাসরি জড়িত। আর তৎকালীন সরকার প্রধান হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া এ হামলার দায় এড়াতে পারেন না।

হানিফ আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সনাল।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নেপথ্য নায়কের ভূমিকায় থাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিচার হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় জিয়াউর রহমানের মরনোত্তর বিচার করে জাতির কাছে তাঁর মুখোশ উন্মোচন করা এখন সময়ের দাবী।

হানিফ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা তৎপর হয়ে উঠেছে। ১৯৭৫ সালের মতো আবারো তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কোন রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জনগনকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় খুনিদের হাত থেকে রক্ষা পান।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

এ হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতরভাবে আহত হন। গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তাঁর একটি কানের সম্পূর্ণ ও অপর কানের আংশিকভাবে শ্রবন শক্তি হারান। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা মানববর্ম তৈরি করে তাঁদের প্রিয় নেত্রীর জীবন বাঁচান।

শেখ হাসিনা এ হামলা থেকে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ দলীয় নেতা-কমী প্রাণ হারান ও কয়েকশ’ নেতা-কমী মারাত্মকভাবে আহত হয়। এখনো তাঁরা শরীরে গ্রেনেডের স্পিন্টার বহন করে দুর্বিসহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.