আজ: বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ অগাস্ট ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এগিয়ে আছে যারা

ramitance_bbশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাংলাদেশে ১২ তফসিলি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এগিয়ে রয়েছে।

এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী অন্য ব্যাংক হলো: সোস্যাল ইসলামী, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনআরবি কমার্সিয়াল, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লি:।

এর মধ্যে ডাচ্-বাংলা, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, সোস্যাল ইসলামী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, স্ট্যান্ডার্ড এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগ এজেন্ট ব্যাংকিং সংক্রান্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৭ এর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমে ১২ ব্যাংকের সম্মিলিতভাবে এজেন্ট সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৭, আউটলেট সংখ্যা ৩ হাজার ২২৪, পুরুষ হিসাব সংখ্যা ৬ লাখ ৫ হাজার ৬০০, নারী হিসাব সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৬৫, রেমিট্যান্স এসেছে ৮৯০ কোটি টাকা এবং হিসাবগুলোয় মোট স্থিতি ৬৫১ কোটি টাকা।

এর আগের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমে ১১ ব্যাংকের সম্মিলিতভাবে এজেন্ট সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৫, আউটলেট সংখ্যা ৩ হাজার ২৩, পুরুষ হিসাব সংখ্যা ৫ লাখ ৬১, নারী হিসাব সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ৪৩৮, রেমিট্যান্স এসেছে ৫৭২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং হিসাবগুলোয় মোট স্থিতি ৪৮১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ছিল। এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংক মাত্র একজন এজেন্ট দিয়ে ১৯২টি আউটলেট পরিচালনা করছে।

এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মত, বাংলাদেশ ব্যাংক চলমান অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের আওতায় ব্যাংকিং সেবাকে ব্যয় সাশ্রয়ীভাবে জনসাধারণের দোরগোড়ায় বিশেষভাবে গ্রামীণ অঞ্চল কিংবা লাভজনকভাবে যেখানে প্রচলিত ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যাওয়া সম্ভবপর নয় সেসব অঞ্চল এবং ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক সেবা প্রদানের নিমিত্তে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সহায়তায় এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং এর নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে।

গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব: ২০১৭ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে আউটলেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মোট হিসাব খোলা হয়েছে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৫। যা প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯৯টি। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। আগের প্রান্তিক থেকে ৯৭ হাজার ১৯২ হিসাব বেড়ে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৫টি হিসাব সংখ্যা হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে ব্যাংক এশিয়ার হিসাব ৩৮ হাজার ৭৩৩টি বেড়ে হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের হিসাব সংখ্যা ৯ হাজার বেড়ে  ৪৯ হাজার ৮০৯টি হয়েছে।

এজেন্ট ব্যাংকিং এ গ্রাহকের হিসাবের মোট স্থিতি: এজেন্ট আউটলেটে গ্রাহকের বিভিন্ন হিসাবে মোট স্থিতির পরিমাণ ৬৫১ কোটি টাকা এবং আউটলেট প্রতি স্থিতি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের স্থিতি ২৮৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, তাদের গ্রাহক হিসাবে মোট স্থিতির পরিমাণ ১৯২ কোটি টাকা। গ্রাহক হিসাবে মোট স্থিতির পরিমাণ ১৪১ কোটি  টাকা নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে নেমেছে ব্যাংক এশিয়া।

রেমিট্যান্স: এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে মোট ৮৯০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক এশিয়া ৩৫৯ কোটি টাকা; ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ৩৫০ কোটি টাকা এবং  আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ৮৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা রেমিট্যান্স বিতরণ করেছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.