আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ অগাস্ট ২০১৭, শুক্রবার |

kidarkar

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির নির্ভরযোগ্য ও দক্ষতা উন্নয়নে ৪৭২ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে সরকার

power greedশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্য ও দক্ষতা উন্নয়ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়নে আগের চেয়ে বেশি সুদে বিশ্বব্যাংক থেকে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা ৪৭২ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে সরকার।

বৃহষ্পতিবার সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ বিষয়ে এক ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইআরডি ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের স্কেল আপ সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রথম এ ঋণ নিল সরকার। স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি কর্মসূচি হচ্ছে_ উন্নয়নে বেশি প্রভাব ফেলে এমন প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) ঋণ গ্রহীতা দেশের মধ্যে যেসব দেশের ঋণ ঝুঁকি কম বা মধ্যমানের সেসব দেশকে এ কর্মসূচি থেকে ঋণ দেওয়া হয়। ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য এ ঋণের সুদ হার ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। প্রথম ৯ বছরের গ্রেড পিরিয়ড (যে সময় ঋণ পরিশোধ করতে হবে না) রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার যে ঋণের যে অংশ তুলবে না, সে অর্থের ওপরও শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। যাকে বিশ্বব্যাংক বলছে ‘কমিটমেন্ট ফি’।

বাংলাদেশ এ যাবৎকালে আইডিএর নমনীয় ঋণ পেয়েছে, যার সুদের হার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই প্রথম এর চেয়ে অনেক বেশি সুদ হারে আইডিএ ঋণ নিচ্ছে সরকার। একে ‘অনমনীয়’ ঋণ বলেছে সরকার ও বিশ্বব্যাংক।

ইআরডি বলছে, বিদ্যুৎ খাতের এ প্রকল্পটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করবে। এটি বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি কর্মসূচির প্রথম প্রকল্প। বিশ্বব্যাংক এ ঋণ অনুমোদন করায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।

চিমিয়াও ফান বলেন,গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে দেশের ৭৮ ভাগ জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে। এ দ্রুত উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মানসম্পন্ন সঞ্চালনের চ্যালেঞ্জে রয়েছে। এ প্রকল্পটির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা করবে। বিদ্যুতের অপচয় কমানোর পাশাপাশি কম খরচে সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে, যা ব্যবসার খরচ কমানো ও জনসাধারণকে কম খরচে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.