খালেদা জিয়ার উপদেষ্টার গাড়িতে আগুন
দেশে চলমান অবরোধের মধ্যেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সাবিহউদ্দিন আহমেদের গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের পুলিশ ব্যারিকেডের খুব কাছেই এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের লাগাতার অবরোধে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পোড়ানোর মধ্যে শনিবার রাতে গুলশানে ৮৬ নম্বর সড়কের মুখে এই ঘটনা ঘটে।
৮৬ নম্বর সড়কে নিজের কার্যালয়ে এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা। ওই বাড়িতে ঢোকার পথে ৫০০ গজ দূরে সড়কের মুখে পুলিশের ব্যারিকেড রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যারিকেডের কাছে গাড়িটি রেখে হেঁটে খালেদার কার্যালয়ে দিকে যান সাবেক কূটনীতিক সাবিহউদ্দিন। গাড়িতে তার চালক ছিলেন।
গাড়িচালক ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি পুলিশের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় একটি মোটর সাইকেলে তিন যুবক এসে পেট্রোল ঢেলে গাড়িতে আগুন দিয়েই দ্রুত চলে যায়।
এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নুরুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল, তা নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ সদস্য ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, “এই ঘটনাটি ৯০ নম্বর রোডের, তা খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে বেশ খানিকটা দূরে।” অবরোধের মধ্যে শনিবার ঢাকায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, আগুন দিচ্ছে অবরোধকারীরা। অন্যদিকে বিএনপির দাবি, এটা সরকারের কাজ।
এদিকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এস এম আবদুল হালিমের নেতৃত্বে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হালিম বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “দেশনেত্রীর অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, উনি আগের চেয়ে বেটার ফিল করছেন।” প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ইসমাইল জবিউল্লাহ, মনিরুজ্জামান খান, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেইন সুজাউদ্দিন, এস এম আলিমুজ্জামান, আবদুল রশীদ, বিজন কান্তি সরকার, আবদুর সবুর, মনিরুল ইসলাম, ফজলুল হক ও আবদুল বারী।
এর আগে সন্ধ্যায় নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনাসহ পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেথা করেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে লুনা তার মেয়ে-ছেলেকে নিয়ে কার্যালয় ঢোকেন। তিনি খালেদার জন্য কিছু ফলমূলও নিয়ে যান।