খোলা আকাশের নিচে ঈদ: ক্ষুধার জ্বালায় কান্নাকাটি
শেয়ারবাজার ডেস্ক: জীবনে এই প্রথম খোলা আকাশের নিচে কোরবানির ঈদ কাটাচ্ছেন রোহিঙ্গাদের একজন সৈয়দ করিম (৫৫)। ঈদের নামাজও তার পড়া হয়নি। ছেলেমেয়েরা ক্ষুধার জ্বালায় কান্নাকাটি করছে।
সেতারা বেগম নামে আরেক রোহিঙ্গা জানান, আজ ঈদের দিনে আশ্রয়ের আশায় টেকনাফের পথে পথে ঘুরতে হচ্ছে। সকালে ছেলেমেয়েরা কলা আর বিস্কুট খেয়েছে। দুপুরে মুখে দেওয়ার মতো কিছুই নেই। মিয়ানমারের সেনারা ঈদের আনন্দ মাটি করে দিয়েছে। তাঁরা আরাকানের মুসলমান। এখন যেটাকে ‘রাখাইন রাজ্য’ বলা হচ্ছে, সেটি আসলে ‘আরাকান রাজ্য’। সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়ে আরাকানের মুসলমানদের জন্মভূমি ছাড়তে হচ্ছে। আর ‘রোহিঙ্গা’ বলে হেয় করা হচ্ছে। সব জায়গাতেই তাঁরা পরিস্থিতির ‘শিকার’ বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঢুকতে এখন রোহিঙ্গাদের কেউ বাধা দিচ্ছে না। যানবাহনে চড়ে এদিক-সেদিক যেতেও সমস্যা হচ্ছে না। সমস্যা শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই ও খাওয়াদাওয়া।
বেড়িবাঁধের ওপর বসা রাখাইন রাজ্যের বুচিদং এলাকা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা কামাল আহমদ (৪৫), মনিরা বেগম (৫০) ও রহিম উল্লাহ (৪৮) বলেন, গত কোরবানির ঈদে রাখাইন রাজ্যে ৩০টির বেশি রোহিঙ্গা–অধ্যুষিত গ্রামে কয়েক শ পশু জবাই হয়েছিল। এবার একটিও হয়নি। মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ রোহিঙ্গাদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। গৃহপালিত পশুসহ সব মালামাল লুট করেছে। রোহিঙ্গাদের কষ্টের ঈদ কাটছে বাংলাদেশের পথঘাটে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা