৪ খাতে আসছে সুখবর
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ১৪টি পণ্য মান পরীক্ষা ছাড়াই ভারতে রপ্তানি করতে চায় বাংলাদেশ। এতে দেশের চার খাতের কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাড়বে। খাতগুলো হলো- খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক, প্রকৌশল, সিমেন্ট এবং বস্ত্র।
মান পরীক্ষা ছাড়া রপ্তানি করতে চাওয়া ১৪টি পণ্যের মধ্যে রয়েছে- হিমায়িত খাদ্য, পটেটো ক্রেকার্স, চকলেট, গুঁড়া দুধ, শুকনা কেক, বোতলজাত পানি, ড্রিংক, ফলের রস, সিমেন্ট, সাবান, রড, জিআই পাইপ ও বস্ত্র। ভারতীয় মান কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রপ্তানি সুবিধা চায় বাংলাদেশ। এসব পণ্যে বাংলাদেশের মান সনদ থাকলেই চলবে।
সম্প্রতি দুই দেশের যৌথ শুল্ক দলের সভায় এই প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। সভায় ভারতীয় প্রতিনিধিদল নীতিগতভাবে একমত হয়। তবে তা ভারতীয় মান কর্তৃপক্ষ ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটির অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিনিধিদলটি। বৈঠকে উভয় পক্ষের যৌথ ঘোষণাপত্র সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ২৩ ও ২৪ আগস্ট ঢাকায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে ২১টি পণ্যে একই ধরনের সুবিধা দিয়েছে ভারত। ওই তালিকায় ছিল ফলের জুস, জ্যাম, জেলি, চাটনি সস, টমেটো, বিস্কুট, চানাচুর, নুডলস, কার্বোনেটেড পানীয় ইত্যাদি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া এনবিআরের প্রথম সচিব এহতেশামুল হক বলেন, বাংলাদেশের পণ্যের মান যদি ভালো হয়, তবে সব পণ্যেই ভারতীয় মান কর্তৃপক্ষের মান সনদ ছাড়া রপ্তানির সুযোগ দেওয়া উচিত। এ ছাড়া ভারতীয় পণ্যের মান নিয়ে বাংলাদেশ কখনো প্রশ্ন তোলেনি। ভারতেরও এ দেশের পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। তা ছাড়া বাংলাদেশের মান কর্তৃপক্ষ বিএসটিআইয়ের মান সনদ প্রতিটি পণ্যে থাকে। তাঁর মতে, মান সনদ ছাড়া পণ্য রপ্তানির সুযোগ বাড়লে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।
ভারতীয় মান কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া এসব পণ্য রপ্তানি সুবিধা পাওয়া গেলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে এসব নিত্যব্যবহার্য পণ্যের রপ্তানি বাজার বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে। বর্তমানে উল্লিখিত পণ্যসমূহ রপ্তানি করার সময় মান পরীক্ষার জন্য ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটিতে পাঠাতে হয়। সেখান থেকে মান যাচাই করে আসতে কমপক্ষে এক মাস সময় লেগে যায় বলে জানা গেছে। ভারত চূড়ান্তভাবে ওই ১৪ পণ্য অনুমোদন দিলে বাংলাদেশের মান কর্তৃপক্ষ বিএসটিআইয়ের মান সনদ থাকলেই হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ