আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার |

kidarkar

বিতরণ ব্যবস্থা পরিবর্তনে বাড়ছে এমজেএলের ব্যবসা

mjl-bangladeshশেয়ারবাজার রিপোর্ট: উৎপাদিত পণ্য ক্রেতা পর্যায়ে বিতরণে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের এমজেএল বাংলাদেশ। এতে কোম্পানিটির ব্যবসা আগের তুলনায় বেড়েছে।

এমজেএল কর্মকর্তারা জানান, শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্য বড় গ্রাহকদের কাছে লুব্রিক্যান্ট পৌঁছে দিতে ছোট ড্রামের বদলে আধুনিক বাল্ক ট্রান্সপোর্টার ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। এতে সময় ও ব্যয়সাশ্রয়ের পাশাপাশি গতি এসেছে বিক্রিতেও। আমদানি করা কাঁচামাল পরিবহনসাশ্রয়ী করতে নিজস্ব ট্যাংকার কেনারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তারা জানান, এত দিন ২২০ লিটার ধারণক্ষমতার ড্রামের মাধ্যমে শিল্প গ্রাহকদের লুব্রিক্যান্ট সরবরাহ করা হচ্ছিল। গত জুলাই থেকে ড্রামের বদলে বাল্ক ট্রান্সপোর্টারে করে পণ্য সরবরাহ শুরু হয়। একেকটি বাল্ক ট্রান্সপোর্টারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার লিটার।

জানতে চাইলে এমজেএল বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব মীর মো. রকিবুল কবীর শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, আগে আমরা ড্রামে করে লুব্রিক্যান্ট সরবরাহ করতাম। এতে সময় বেশি লাগত এবং এগুলোর ধারণক্ষমতাও খুব বেশি ছিল না। টার্গেট ইঞ্জিন পর্যন্ত লুব্রিক্যান্ট পৌঁছাতে এ ব্যবস্থায় ঝামেলা তুলনামূলক বেশি ছিল।  এ কারণে বর্তমানে আমরা ড্রামের বদলে বাল্ক ট্রান্সপোর্টারে পণ্য সরবরাহ করছি। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকেও বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি, বিশেষ করে বিদ্যুৎ প্লান্টগুলো থেকে। ইঞ্জিন বড় হওয়ায় সেখানে লুব্রিক্যান্টের বেশ চাহিদা এবং তারা বাল্কেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে।

তাছাড়া সম্প্রতি কোম্পানিটির পর্ষদ সমুদ্রপথে অপরিশোধিত তেল পরিবহনের জন্য একটি মাঝারি আকারের ট্যাংকার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১ লাখ ৭ হাজার ১৬৯ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংকারটির মূল্য ১ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, স্থানীয় মুদ্রায় যা ১৩২ কোটি টাকার বেশি। আগামী দুই মাসের মাসের মধ্যে ট্যাংকার সচল করা হবে। শুরুতে ট্যাংকারের জন্য খরচ হলেও পরবর্তীতে কোম্পানির ব্যবসা ও মুনাফায় এ ট্যাংকার ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মীর মো. রকিবুল কবীর। তিনি জানিয়েছেন, ট্যাংকার ক্রয়ের খরচ মেটাতে চলতি ২০১৭-১৮ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানির মুনাফা কিছুটা কমতেও পারে। তবে সব পরিকল্পনা ঠিক থাকলে দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) থেকেই এর সুফল দৃশ্যমান হবে।

উল্লেখ্য, এমজেএল মোবিল ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল তৈরি করে। এর জন্য মোবিল-কে রাজস্ব দিতে হয়। ২০০৮ সালে মোবিল এমজেএলের শেয়ার ছেড়ে দিয়েছে।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই থেকে মার্চ) এমজেএল বাংলাদেশের রেভিনিউ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৪৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে ১৫৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৬৪ পয়সা।

এদিকে ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে সাবসিডিয়ারি থেকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ১২ কোটি টাকা লোকসান ছিল।

জুন ক্লোজিংয়ের বাধ্যবাধকতায় ২০১৬ সালের ৩০ জুন ১৮ মাসে হিসাব বছর শেষ করে এমজেএল বাংলাদেশ। সে বছর ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ মাসের জন্য অন্তর্বর্তী ৩০ শতাংশসহ মোট ৬০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পান এর শেয়ারহোল্ডাররা। ১৮ মাসে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৭ টাকা ৭২ পয়সা।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.