আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, রবিবার |

kidarkar

যে কারণে বিক্রেতা সঙ্কটে খুলনা প্রিন্টিং

KPPLশেয়ারবাজার রিপোর্ট: দীর্ঘদিন টানাপোড়েনের পর অবশেষে খুলনা প্রিন্টিংয়ের সঙ্গে এনবিআরের বিবাদ শেষ হচ্ছে। এতে খুলনা প্রিন্টিং শিগগিরই উৎপাদনে ফিরছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। আর এমন খবরে আজ শেয়ারবাজারের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা সঙ্কট দেখা গেছে।

আজ রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.২৪ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনি দর ছিল ১১.৯০ টাকা। তবে আজ বেলা ১২টার পর কোম্পানির শেয়ারে কোন বিক্রেতা না থাকায় হল্টেড হয়েছে। দিনভর কোম্পানিটির ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৪০১ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এনবিআর এবং কোম্পানি সূত্র জানায়, কেপিপিএলের গুদাম ও বিআইএন খুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এনবিআরে চিঠি দেয়া হয়। পরবর্তীতে কেপিপিএলের উদ্যোগে এনবিআরের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক শেষে উভয়পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। এনবিআর এরই মধ্যে কোম্পানির গুদাম খুলে দিয়েছে। কাঁচামাল আমদানি ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিআইএন এবং বন্ড লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে। নতুন বিআইএন হাতে পেলেই উৎপাদনে যাবে কেপিপিএল।

এনবিআরের দেওয়া দুটি শর্ত পালন সাপেক্ষে এমন সমঝোতা হয়েছে। এনবিআরের বিরুদ্ধে করা কোম্পানির মামলা প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে রাজস্ব আইন মেনে ব্যবসা করার প্রুতিশ্রুতি।

উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ২৬ আগস্ট, ২০১৫ কেপিপিএলের বন্ড লাইসেন্স ও বিআইএন (বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) লক করে দেয়। এর বিরুদ্ধে কোম্পানিটি চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা কাচামাল খালাসের জন্য উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে। উচ্চ আদালত কাস্টমসের এ কার্যক্রমকে অবৈধ ও অনৈতিক বলে উল্লেখ করে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার আমদানিকৃত পন্য ও বন্ড ওয়্যারহাউজে রক্ষিত ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার কাচামাল ছাড় দেয়ার নির্দেশ দেয়। অথচ তা ছাড় না দেয়ার কারনে কাচামালগুলোর মান ক্রমশ নষ্ট হয়ে যায়।

এরপর কোম্পানি গত ১লা জানুয়ারী ২০১৬ উচ্চ আদালতে যায় এবং সেখান থেকেও কাচামাল ছাড় দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পন্যগুলো ছাড়ার নির্দেশনা থাকা সত্বেও এনবিআর এবং কাস্টমস না পন্য ছাড় দিয়েছে, না তাদের বন্ড লাইসেন্স রিনিউ করেছে। ফলে কোম্পানিটি ঐ ২ প্রতিষ্ঠানের অসহযোগিতার কারনে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। এ অবস্থায় আর কোন বিকল্প না থাকায় কোম্পানিটি অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিলো।

এদিকে, গত কয়েক কার্যদিবস ধরে কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ জানতে ডিএসই কোম্পানিকে শোকজ করে। কিন্তু কোম্পানি জানায় সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার কোন কারণ তারা জানেন না।

ডিএসই তথ্যানুয়ায়ী, গত ২৮ আগস্ট কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ১১ টাকা। যা ১৩ সেপ্টেম্বর বৃদ্ধি পেয়ে ১১.৯০ টাকায় লেনদেন হয়। এ সময় কোম্পানির শেয়ার দর ০.৯০ টাকা ৮.১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.