আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ অক্টোবর ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

পৃথিবীর ভয়ংকর ও ভূতুড়ে জায়গা!

jancশেয়ারবাজার ডেস্ক: আমাদের সবার জীবনেই কোনো না কোনো সময় এমন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই হয়েছে জীবনে কখনও না কখনও। কোনো কোনো সময় আমরা কিছু একটা ভূতুড়ে অনুভূতি বলে বোধ করি, কখনও বা স্রেফ পাশ কাটিয়ে চলে যাই খেয়াল না করে। আবার কখনও এমনও হয় যে কিছু লোকের কল্পনার মাত্রা অন্যদের চেয়ে বেশী এবং তারা সাধারণ ঘটনাকেও অপ্রাকৃতিক বলে ভাবতে শুরু করে। জেনে নিন কিছু স্হানীয় ভূতুড়ে ঘটনা যারা নিজেদের পরিচয় তো দিয়েছে কিন্তু তাদের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

১) পুরোনো চাঙ্গী হসপিটাল, সিঙ্গাপুরঃ 
এই হাসপাতালটি তৈরী হয়েছিল ১৯৩৫ সালের দিকে। কিন্তু এখন এটা জাপানীরা এটি দখল করে নেয়। জাপানীরা এটাকে গোপন অত্যাচারের ঘাঁটি বানায় এবং যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে এসে নীপিড়ন করত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর পর ১৯৯৭ সালে এটিকে নতুন চাঙ্গী হাসপাতালে পরিণত করা হয়। কিন্তু রুগীরা আজ অবধি শান্তিতে থাকতে পারেনি। জোরে চিৎকার ও দরজায় দাপাদাপি আজও শোনা যায় হাসপাতালে।

২) আইল্যান্ড অফ ডলস্, মেক্সিকোঃ
একটি ছোট্ট মেয়ে জলে ডুবে মারা যায় জোকিমিলকো মেক্সিকোর কৃত্রিম দ্বীপে। ১৯৫০ সালে একজন এই জায়গায় থাকতে আসেন সেই নালার কাছে যেখানে সেই মেয়েটি মারা যায়। ছোট্ট মেয়েটির আত্মা মাঝে মাঝেই এসে বিরক্ত করত লোকটিকে। আত্মাকে খুশি করার জন্য লোকটি অনেক পুতুল কিনে ওই দ্বীপের চারপাশে ঝুলিয়ে রাখত।২০০১ সালে লোকটি মারা যায় ওই একই জায়গায় যেখানে আগে মেয়েটি মারা গেছিল।

৩) ভানগড় দুর্গ, রাজস্থানঃ
ভারতবর্ষের রাজস্হানে আলওয়ার জেলায় এটি একটি পরিত্যক্ত দু্র্গ। লোকের বিশ্বাস যে এখানে তান্ত্রিকের অভিশাপ আছে। এক বেপরোয়া তান্ত্রিক রাজকুমারীর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অভিশাপ দেন যে ওখানে কোনো বাড়ির ছাদ থাকবে না। আজ অবধি কোনো বাড়ির ছাদ নেইও। জায়গাটি পরিত্যক্ত ও আজ অবধি ভারতবর্ষের অন্যতম ভূতুড়ে জায়গা।

৪) চাটাউ ডে ব্রিসাক, ফ্রান্সঃ
এই সুরক্ষিত প্রাসাদটি একাদশ সতকের সাক্ষী এক বিভৎস জোড়া খুনের। সবুজ রং-এর পোশাক পরিহিত এক মহিলাকে দেখা যায়, মুখটা পচা গলা মৃতদেহর মত। খুনের সবুজ রং-এর পোশাক পরিহিত এই মহিলা হাহাকার ও আর্তনাদ করে ঘুরে বেড়ান।

৫) আওকিঘারা জঙ্গল, জাপানঃ
এই কুখ্যাত প্রাণঘাতক জঙ্গলটি মাউন্ট ফুজির পায়ের কাছে। প্রতি বছর অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটে এই জঙ্গলে। যদিও সরকার আসল সংখ্যাটি গোপন রাখে। ঘন জঙ্গল হাওয়ার গতি রোধ করে এবং এর সাথে জড়িত দৈত্য দানবের গল্প আরও ভয়াবহ করে তোলে জায়গাটিকে। মৃতরা মরার পরেও যেতে চাইছে না ওখান থেকে এবং তাদের সেই আর্তনাদ আজও শোনা যায়।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.