আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শুরুতে উত্থান-পতন থাকলেও দেড় ঘন্টা পর ব্যাংক খাতের ক্রয় প্রেসারে বাড়তে থাকে সূচক। মঙ্গলবার সূচক কিছুটা বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর আগের দিনের তুলনায় টাকার অংকে লেনদেনও কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৬৫ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরে শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেনে উত্থান ঘটেছে। অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাবের কারণে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজার লিমিট অতিক্রম করায় ব্যাংকগুলোর প্রতি কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আইনি সীমায় নামিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে। তাতেই গতকাল সূচকে ব্যাপক পতন ঘটেছে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অাতঙ্ক কাটিয়ে আজ আবার উত্থানে ফিরেছে বাজার।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬১৪১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২২০৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ১৮৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৭৬৫ কোটি ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
এর আগে সোমবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬১২৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩৪৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১৯৯ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৯৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২০২ কোটি ৭৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৫৬০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির কমেছে ১৩৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু