এসআইবিএল নিয়ে যা বললেন অর্থমন্ত্রী
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ব্যাংক খাতের অনিয়ম নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে স্বাক্ষাতকার দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। স্বাক্ষাতকারে তিনি বলেন, এসআইবিএলে (সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) কয়েকজন পরিচালক অনাচার করছেন। এক দিনের ব্যবধানে ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার পরিবর্তন—এটা অপ্রত্যাশিত। গভর্নর ফজলে কবিরকে বলেছি তাঁদের আচ্ছা করে শাস্তি দিতে।
মূলত এসআইবিএলের পর্ষদে জায়গা পেতে দেশের দুটি শিল্পগ্রুপ শেয়ার কেনার প্রতিযোগীতার সূত্র ধরে অর্থমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি ১১ থেকে ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন।
গত মে মাসে ইউনাইটেড গ্রুপ এসআইবিএলের ১৭ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করে। পরে ধারাবাহিকভাবে দুই মাসে গ্রুপটি এসআইবিএলের মোট ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে। এর ধারাবাহিকতায় তারা পরিচালনা পর্ষদে একাধিক পরিচালক নিয়োগের জন্য জোর তদবির শুরু করে। কিন্তু পর্ষদে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে তারা শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।
ইউনাইটেড গ্রুপের বিভিন্ন সহযোগী কোম্পানি ও পরিচালকরা মিলে এসআইবিএলের ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেন। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত গ্রুপটির হাতে ব্যাংকটির শেয়ার ছিল ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। গ্রুপটির হাতে থাকা সাড়ে ১৭ শতাংশ শেয়ার থাকা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। শেষ পর্যন্ত আদালতেও গড়ায় বিষয়টি।
আদালত বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য রুল জারি করেন। একই সঙ্গে বিষয়টির সমাধান হওয়ার আগ পর্যন্ত শেয়ার ধারণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ভোটাধিকার বা অন্য যে কোনো অধিকার না দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপরেই বিষয়টি নিয়ে ২৯ মে, ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দাখিল করে ব্যাংকটির একজন শেয়ারহোল্ডার। এরপরেও শিল্প গ্রুপটি ধীরে ধীরে ব্যাংকটির শেয়ার ধারণ করতে থাকে। চলতি বছরের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তা ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশে পৌঁছায়।
এদিকে ইউনাইটেড গ্রুপ এসআইবিএল ব্যাংকের শেয়ার ছেড়ে দিলেও তা কিনে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। তারা ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে ব্যাংকটির ৩৯ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করেছে বলে জানা গেছে। মাত্র দুটি ঠিকানা ব্যবহার করে এ গ্রুপের ১৯টি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার থেকে এসআইবিএলের ২৮ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার কিনে নিয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ