আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ অক্টোবর ২০১৭, শুক্রবার |

kidarkar

গ্রামীণফোনের মুনাফা ৭০০ কোটি টাকা

gpশেয়ারবাজার রিপোর্ট: চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কর-পরবর্তী ৭০০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে দেশের শীর্ষ সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড। উচ্চতর আয় ও পরিচালন ব্যয় ব্যবস্থাপনার কারণে এ প্রান্তিকে সুদ, কর, অবচয় ও অবলোপন-পূর্ববর্তী আয় (ইবিআইটিডিএ) ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ বেড়ে চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা।

গ্রামীণফোন সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের মোট রেভিনিউ হয়েছে ৩ হাজার ৩২০ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ হাজার ৯৪৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সর্বশেষ জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৬৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ৭৮ পয়সা।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত আর ভয়াবহ বন্যার কারণে সর্বশেষ প্রান্তিক সেল অপারেটরদের ব্যবসার জন্য বেশ কঠিন ছিল। গ্রাহক সংগ্রহসহ ব্যবসা সম্প্রসারণে টেলিকম শিল্প প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও আমরা ডাটা ও ভয়েস খাতে প্রবৃদ্ধি করতে পেরেছি।

গ্রামীণফোনের ব্যবসা প্রবৃদ্ধির বর্ণনা করে তিনি বলেন, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৩৯ লাখ ছাড়িয়েছে। আগের প্রান্তিকের তুলনায় প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ডাটা গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি। ফলে মোট গ্রাহকের ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে।

গ্রামীণফোনের নবনিযুক্ত সিএফও কার্ল এরিক বলেন, গ্রামীণফোন সর্বশেষ প্রান্তিকেও ব্যবসা ও মুনাফায় প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, ভয়েস খাতে মূল্য স্থিতিশীলতা ও চলমান পরিচালন দক্ষতা কর্মসূচি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মূল্য সংযোজনে ভূমিকা রেখেছে।

তিনি আরো বলেন, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন উচ্চ ভয়েস ও ডাটা চাহিদা পূরণে থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে ১৫৪টি টুজি ও ২৮৪টি থ্রিজি বেজ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এতে কোম্পানির বর্তমান টুজি স্থাপনার সংখ্যা ১২ হাজার ৫১৭ ও থ্রিজি স্থাপনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮৪১।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ৮৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পর আরো ৯০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দেয় গ্রামীণফোন। বার্ষিক ইপিএস দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৬৮ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৪ টাকা ৫৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ২৪ টাকা ৮৬ পয়সায়। ২০১৫ হিসাব বছরে ১৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পান কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

গতকাল ডিএসইতে দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৪২৪ টাকায় গ্রামীণফোনের শেয়ার হাতবদল হয়। গত এক বছরে এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ২৭২ টাকা ৫০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৪৩৭ টাকা ৮০ পয়সা।

২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোন বাংলাদেশের শীর্ষ সেলফোন অপারেটর। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ২২২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২, যার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারী ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.