আজ: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ অক্টোবর ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের মধ্যে সমন্বয় হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে

DCCIশেয়ারবাজার রিপোর্ট: নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আসছে না বলে মন্তব্য করেছেন ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সি কিউ কে মোশতাক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করতে পারলে আর্থিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে’

সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত “ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ২০১৫ এবং এর অর্থনৈতিক প্রভাব” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক আফতাব উল ইসলাম, আইএবি’র সভাপতি আদিব হোসেন খান এবং আইসিএমএবি’র সভাপতি জামাল আহমদে চৌধুরী।

সি কিউ কে মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে আমাদের সবাইকে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের নীতিমালাগুলো যথেষ্ট ভালো, কিন্তু সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এর মধ্যে মাত্র তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত।

সেমিনারে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘বর্তমানের বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাপনায় একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হয়।’ তিনি ফিন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের পক্ষ হতে দেশের আর্থিক খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও নির্দেশনা নিশ্চিত করতে এ কাউন্সিলে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আফতাব উল ইসলাম বলেন, ‘২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে আর্থিক খাতের বিপর্যয়ের ঘটনার মাধ্যমে ফিন্যান্সিয়াল অডিটিং বিষয়টি সকলের নজরে আসে।’ তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছ ও নির্ভুল অডিট রিপোর্টের মাধ্যমে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব।’

আইএবি’র সভাপতি আদিব হোসেন খান বলেন, ‘দেশের আর্থিক খাতের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সব স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা কমানো ও আস্থা অর্জন জরুরি। এছাড়া, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইনের আওতায় দোষীদের কারাগারে প্রেরণসহ অন্যান্য শাস্তির বিধান রাখা হলে, আমাদের অডিটররা ভীত হবেন এবং এ খাতটি মেধাবী জনশক্তি তৈরিতে ব্যর্থ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অডিট ও অ্যাকাউন্টিং খাতে আমাদের দক্ষ জনবলের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে এবং এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরি করা না হলে, ভবিষ্যতে অডিট ব্যবস্থাপনা প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের ব্যবসায়ী সমাজ।’

আইসিএমএবি’র সভাপতি জামাল আহমদে চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে ৫১টি দেশে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট চালু রয়েছে।’ তিনি অডিটরদের কাছে সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য উপস্থানের জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানান।
আইসিএবি’র ফেলো মো. শাহাদত হোসেন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য হলো- হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা পেশার দক্ষতা, নৈতিকতা ও মান নির্ধারণ, আর্থিক প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিকরণ। এছাড়া জনস্বার্থমূলক সংস্থাগুলোকে আর্থিক ও অ-আর্থিক তথ্যের উচ্চমান সম্পন্ন প্রতিবেদন প্রস্তুতে উদ্বুদ্ধকরণ।’ তিনি বলেন, ‘আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.