চার কার্যদিবস পর কারেকশন: ৬২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছেন বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকে নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শুরু থেকেই বিক্রয় চাপে নামতে থাকে সূচক। এবং একবার ঘুঁড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যাহত হয় বাজার। এরই ধারাবাহিকতায় চার কার্যদিবস উত্থানের পর পতনে বিরাজ করছে বাজার। রোববার সূচকের পাশাপাশি ৬১.৮৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আর আগের দিনের তুলনায় টাকার অংকে লেনদেনও কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৮ কোটি টাকা।
গত কয়েক দিনের ধারবাহিক উত্থানের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার ঝোঁক বিরাজ করে। ২০১০ সালে বাজার ধসের পর থেকে কিছুতেই যেন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে না। এরই অংশ হিসেবে কোন শেয়ারে সামান্য লাভ থাকলেই তা বিক্রি করতে শুরু করেন তারা। এরই জের ধরে আজকের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬০৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩২৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১৯৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ২০৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৫৩৮ কোটি ৪৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৬০৯৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৩২৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২২০১ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৬৭৫ কোটি ৯২ লাখ ৪২ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩৭ কোটি ৪২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৫২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির কমেছে ১৫১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু