ইফাদ অটোসের ব্যবসা সম্প্রসারণ: গালফ অয়েলের সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তি বুধবার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট :পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইফাদ অটোস লিমিটেড ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি গলফ অয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গালফ অয়েল বাংলাদেশ সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি।
আগামী ১৫ নভেম্বর (বুধবার) ওয়েস্টিন হোটেলে প্রতিষ্ঠান দু্ইটির মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে কোম্পানির একটি সূত্র জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপির। সে সময় সময় অন্যাদের মধ্যে ইফাদ অটোস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু, গালফ অয়েল ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট-(ইন্টারন্যাশনাল) মি: ফ্রান্ক রুট্টেন ও দুটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ব্যাংকারসহ অনেকেই থাকতে পারেন।
জানা যায়, গাল্ফ অয়েল বাংলাদেশ লি: গাল্ফ অয়েল ইন্টারন্যাশনাল লি: (যুক্তরাজ্য) এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে ইফাদের কোম্পানি সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে গাল্ফ অয়েলের লুব্রিকেন্টসের ব্যবসা ইফাদের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হবে। এর ৪৯ শতাংশ শেয়ার নেবে ইফাদ। এতে ইফাদের খরচ হবে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার। এ বিনিয়োগ থেকে প্রতি বছর ইফাদের ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা মুনাফা আসবে। আর এ খরচ ইফাদের নিজস্ব অর্থায়নে করা হবে।
বিশ্বের অন্যতম প্রধান লুব্রিকেন্টস প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর ৫১ শতাংশের মালিকানা রয়েছে গাল্ফ অয়েল ইন্টারন্যাশনালের কাছে। বাকি ৪৯ শতাংশের মালিকানা রয়েছে গাল্ফ অয়েল বেনেলাক্স বি.ভি নেদারল্যাল্ডসের কাছে। গাল্ফ অয়েল বেনেলাক্স বি.ভি নেদারল্যাল্ডসের শেয়ার কিনে নিচ্ছে ইফাদ অটোস।
গাল্ফ অয়েল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের ৭৩টি দেশে ব্যবসা করছে।
করের স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত কেম্যান আইল্যান্ডে নিবন্ধিত গাল্ফ অয়েল বাংলাদেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের লুব্রিকেন্টস গ্রিজ ও কার কেয়ার প্রডাক্টস বাজারজাত করে থাকে। এ খাত সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি লুব্রিকেন্টস বা ইঞ্জিন অয়েলের বাজার রয়েছে। এ বাজারে গাল্ফের অংশ ৫-৬ শতাংশ। বর্তমানে ইঞ্জিন অয়েলের প্রায় ৩৪ শতাংশের বাজার এমজেএল বাংলাদেশের দখলে। দেশে ইঞ্জিন অয়েলের ব্যবসা ক্রমাগত বাড়ছে। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ। এমজেএল বাংলাদেশের পরের অবস্থানটি দখল করার লক্ষ্য নিয়ে যৌথ মালিকানায় ব্যবসা করার উদ্যোগ নিয়েছে গাল্ফ ও ইফাদ। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় অশোক লেল্যান্ডের সহযোগিতায় স্থাপিত গাড়ি অ্যাসেমব্লিং কারখানার কার্যক্রম শুরু করেছে ইফাদ।
এদিকে এমন চুক্তির খবরে সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের চমক দেখিয়েছে ইফাদ অটোস লি:। গতকাল বৃহষ্পতিবার ডিএসই-তে লেনেদের শীর্ষে উঠে এসেছে ইফাদ অটোস। এর আগের দিনেও লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইফাদ।
শেয়ারবাজারনিউজ/মা