লাভে শেয়ার বিক্রির ১০ কৌশল
অনেকেই শেয়ার কেনার পর যখন লাভ হয় তখন এটাকে বেচার সিদ্বান্তহীনতায় ভুগেন। এক্ষেত্রে দুই রকম বিনিয়োগকারী পাওয়া যায় ।
এক. কিছু বিনিয়োগকারী আছে যারা শেয়ারে লাভ হবার সঙ্গে সঙ্গে বেচে দেন পরে আরো দাম বেড়ে গেলে হা হুতোশ করেন।
দুই. কিছু বিনিয়োগকারী আছেন যারা শেয়ারে লাভ হলে বেচেন না। তারা আরো বাড়ার আশায় থাকেন। এক দেখা যায় যে পুনরায় শেয়ারটির দাম তার কেনা পর্যায়ে দামের নিচে চলে আসে অথবা লাভের পরিমান কমে যায়।
মজার একটি ব্যাপার হল শেয়ার বাজারে অনেকেই লাভ নেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্বানতহীনতায় পড়েন কিন্তু লসের ক্ষেত্রে চটজলদি বেচে দেন। আর তাই এই বিষয়ে সঠিক সিদ্বান্ত নেবার সুবিধার্থে নিচে কিছু কৌশল বর্ণনা করা হলো:
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে:
১। প্রথমেই বিনিয়োগকারীকে ঠিক করে নিতে হবে যে কত পরিমান লাভ তার টার্গেট হবে।
২। তবে বিনিয়োগকারীকে মোটামুটি ৩০% লাভের টার্গেট করে বেচতে হবে।
৩। যদি দেখা যায় শেয়ারটি আগের বছরের তুলনায় দাম অনেকাংশ বেড়ে গেছে কিন্তু শেয়ারটির ভলিউম আগের দিনগুলোর মত স্বাভাবিক আছে সেক্ষেত্রে কিছু দিন অপেক্ষা করে যখন অস্বাভাবিক ভলিউমে যাবে তখন বেচে দিতে হবে।
৪। দাম বাড়ার পর যখন শেয়ারটি একটি মূল্যে সামান্য ব্যাবধানে উঠানামা করে লেনদেন হচ্ছে তখন শেয়ারটি বেচে দিতে হবে।
স্বল্পমেয়াদি ট্রেডের ক্ষেত্রে:
১। প্রথমেই বিনিয়োগকারীকে ঠিক করে নিতে হবে যে কত পরিমান লাভ তার টার্গেট হবে।
২। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে মোটামুটি ১৫% লাভের টার্গেট করে বেচতে হবে।
৩। যেহেতু সট ট্রেডে বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ সেহেতু এক্ষেত্রে লাভ হলেই বেচে দেওয়া উত্তম।
৪। যদি শেয়ারটি অনেক দিন সামান্য ব্যবধানে স্হির থেকে হঠাৎ বাড়তে শুরু হয়েছে এবং পরপর দুই দিন দাম বৃদ্বি পেয়েছে এবং ৩য় দিনে সকালে দাম পড়ে গেছে কিন্তু ভলিউম বেশী হচ্ছে তবে শেয়ারটি ৪ দিনে বেচাই উত্তম।
৫। যদি দেখা যায় শেয়ারটি আগের দিনের তুলনায় দাম অনেকাংশ বেড়ে গেছে কিন্তু শেয়ারটির ভলিউম আগের দিনগুলোর মত স্বাভাবিক আছে সে ক্ষেত্রে কিছু দিন অপেক্ষা করে যখন অস্বাভাবিক ভলিউমে যাবে তখন বেচে দিতে হবে।
৬। দাম বাড়ার পর যখন শেয়ারটি একটি মূল্যে সামান্য ব্যবধানে উঠানামা করে লেনদেন হচ্ছে তখন শেয়ারটি বেচে দিতে হবে ।
লেখক ও শেয়ার গবেষকঃ মোঃ আব্দুল মতিন চয়ন। ইনভেষ্টার,গ্লোব সিকিউরিটিজ লিঃ।রাজশাহী