আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২১ নভেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার |

kidarkar

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

hasinaশেয়ারবাজার ডেস্ক: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে তিনি এই শ্রদ্ধা জানান। প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সশস্ত্র বাহিনি।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনির সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনি জাতির অহঙ্কার। মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠা এ বাহিনির সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শুধু দেশেই নয়; জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করছেন তারা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর দেশপ্রেমিক জনতা, মুক্তিবাহিনি, সশস্ত্র বাহিনি ও বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনির সদস্যরা দখলদার পাকিস্তানি বাহিনির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। সম্মিলিত আক্রমণে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনির আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। সরকার সশস্ত্র বাহিনির আধুনিকায়নে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও উন্নত নৈতিকতার আদর্শে স্ব-স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনির সমন্বয়ে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনি ও তাদের দোসরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সাধারণ জণগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সমন্বিত আক্রমণ করে তারা। এর পর থেকে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.