৫ কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ৫ কোম্পানি অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এ কোম্পানিগুলো হলো: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শাহজিবাজার পাওয়ার, সিমেন্ট খাতের এমআই সিমেন্ট, প্রকৌশল খাতের বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম (বিবিএস), ঔষধ ও রসায়ন খাতের এসিআই ফর্মুলেশন এবং চামড়া খাতের বাটা শু।
এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর পরবর্তী মুনাফা ৫৮ শতাংশ বেড়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার লিমিটেডের এবং একমাত্র বাটা শু এর মুনাফা ১১ শতাংশ কমেছে।
শাহজিবাজার পাওয়ার: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৫) কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা দেখিয়েছে ২৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯৯ টাকা। এর এর আগের বছর একই কোম্পানিটির নীট মুনাফা ছিল ১৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ১.৩৮ টাকা।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে অর্থাৎ জুলাই ২০১৪ থেকে মার্চ ২০১৫ পর্যন্ত কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৮৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এই সময়ে ইপিএস হয়েছে ৬.৩৩ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা ছিল ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ১.৪০ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের ব্যাবধানে প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির মুনাফা ৪০০ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
এমআই সিমেন্ট: সিমেন্ট খাতের এ কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৫) কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ২৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৩ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা ছিল ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ০.৯১ টাকা।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে অর্থাৎ জুলাই ২০১৪ থেকে মার্চ ২০১৫ পর্যন্ত কোম্পানিটির নীট মুনাফা হয়েছে ৫০ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং ইপিএস হয়েছে ৩.৩৭ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই নীট মুনাফা ছিল ৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ৩.১৭ টাকা।
প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি ২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম (বিবিএস): প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৫) কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৯ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা ছিল ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ০.৬৭ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে জুলাই ২০১৪ থেকে মার্চ ২০১৫ পর্যন্ত কোম্পানিটির নীট মুনাফা হয়েছে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং এই সময়ে ইপিএস হয়েছে ২.০৪ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা ছিল ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ১.৮৯ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যাবধানে কোম্পানিটির মুনাফার হার বেড়েছে।
২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
এসিআই ফর্মুলেশন: ঔষধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’১৫-মার্চ’১৫) কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭০ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির এ মুনাফা ছিল ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ১.৫৭ টাকা।
কোম্পানিটি ২০১৩ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডার ২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
বাটা শু: চামড়া খাতের এ কোম্পানিটি চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’১৫-মার্চ’১৫) কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ১৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০.৭১ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি নীট মুনাফা করেছিল ১৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ১২.০৩ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের ব্যাবধানে কোম্পানিটির নীট মুনাফা ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা কমেছে।
২০১৪ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের অভ্যন্তরীণ ডিভিডেন্ডসহ সর্বমোট ২৮০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/তু