শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এইদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও ৫০ মিনিট পর ব্যাংক, আর্থিক ও ওষুধ ও রসায়ন খাতের সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। মঙ্গলবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর আগের দিনের তুলনায় টাকার অংকে লেনদেন কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯১ কোটি টাকা।

বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বাজারের হেভিওয়েট কোম্পানি বলতে প্রথমেই রয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো। কারণ বাজার মূলধনের একটি বড় অংশ ব্যাংক সেক্টরের দখলে। ব্যাংক খাতে দরপতনের কারণে পুরো বাজারে নেতিবাচক পড়েছে। এছাড়া মাসের শেষে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির প্রবণতা বেশি থাকে। ক্রয়ের চেয়ে বিক্রয়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আবার কেউ কেউ বাজারে কারেকশনের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬২৮১  পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২২৬৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ১৬৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯১ কোটি ৯০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

এর আগে সোমবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৬৩১৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৩৯২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২২৮৬ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৫৮ কোটি ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইএক্স ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৭৬০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির কমেছে ১১৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু