আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

বেড়েছে লেনদেন ফিরেছে আস্থা

bazarশেয়ারবাজার রিপোর্টঃ সপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনে ইতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৪দিনই বেড়েছে সূচক। বাকি এক কার্যদিবস কিছুটা কারেকশন হলেও এর মাত্রা ছিলো সামান্য। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বচ্চ স্থানে অবস্থান করছে ডিএসই‘র মূল সূচক ডিএসইএক্স। বর্তমান ডিএসইএক্স ৬ হাজার ৩২২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেনের পরিমান বেড়েছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে লেনদেন বেড়েছে ৬.১৬ শতাংশ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত সপ্তাহে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শেয়ারে ব্যাপক উত্থান ঘটেছে। এর জেরে অন্যান্য খাতেও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। মূলত আর্থিক খাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আচরণ বিধি জারি করায় ব্যাংকের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক দেখা গেছে। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট আচরণ বিধি মেনে চলতে হবে।

এছাড়াও, সংসদে ব্যাংক আইন সংশোধনের প্রতিবেদন  উঠেছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে এক পরিবারে চার সদস্য থাকার সুযোগ রেখে আইন সংশোধনের প্রস্তাবটি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন সংসদে উঠেছে। গত মঙ্গলবার বৈঠক করে বিলটি নিয়ে আলোচনা শেষে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়।

নতুন এই সিদ্ধান্তে বেসরকারি ব্যাংকে ‘পরিবারতন্ত্র’ কায়েমের সুযোগ তৈরি হবে বলেও প্রতিক্রিয়া আসে। বিদ্যমান আইনে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুজন সদস্য একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারেন। আর তিন বছর করে পরপর দুই মেয়াদে মোট ছয় বছর একই ব্যক্তি পরিচালক হতে পারেন। এরপর তিন বছর বিরতি দিয়ে আবারও পরিচালক হতে পারেন।

সংশোধিত আইনে একটানা নয় বছর পরিচালক পদে থাকার বিধানও রাখা হয়েছে। সর্বশেষ ধারাটি সংশোধন করা হয় ২০১৩ সালে। এবার ষষ্ঠবারের মতো সংশোধন হতে যাচ্ছে।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সঞ্চয় পত্রে সুদের হার কমাতে সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি ঋণ পুন:তফসিল করার শর্ত শিথিল করা হবে বলে আভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে ঝুঁকবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বা ৪০ দশমিক ৪২ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ০ দশমিক ১০ শতাংশ বা ২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ১৮ দশমিক ০১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ৪ হাজার ৯৭৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৪ হাজার ৬৮৪ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ৭৩৮ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ২৮৮ কোটি ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার ১৫১ টাকা বা ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।

আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৮ দশমিক ০০ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

সপ্তাহশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই)সার্বিক সূচক সিএসইএক্স ৭৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ০.৯৪ শতাংশ বেড়ে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ১১৮৪৪ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়ার ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১১৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দর। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ৩১৫ কোটি ৭৮ লাখ ৪১ হাজার ৭৭৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.