আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ নভেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

আবার মাথা তুলল সেই জলদানব!

শেয়ারবাজার ডেস্ক: মার্কিন মুলুকের মিশিগানের বাসিন্দা ডায়ানা টার্নার স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত হ্রদ লক নেস-এর উপরে তোলা লাইভ ভিডিও দেখছিলেন। লক নেস-এর মূল খ্যাতি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ঠিক নয়।

যদিও পাহাড়ে ঘেরা এই হ্রদের সৌন্দর্য অতুলনীয় বলেই ধরা হয়। লক নেস-এর মূল খ্যাতি তাতে বাসরত এক রহস্যময় প্রাণীকে ঘিরে। এই প্রাণীটি সত্য কি সত্য নয়, তা নিয়ে তর্ক সেই ৫৬৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে বহমান।

৫৬৫ সালে সেন্ট কলম্বা নামে এক সন্ন্যাসী এই প্রাণীটিকে প্রত্যক্ষ করেন বলে দাবি করেন কলম্বার জীবনীকার অ্যাডোমনান অফ লোনা। তার পর থেকে যুগে যুগে এই প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছে বলে দাবি।

কালক্রমে এই প্রাণীটি পরিচিত হয় ‘লক নেস মনস্টার’ হিসেবে। তবে একে ‘নেসি’ হিসেবেই ডাকতে শুরু করেন বেশির ভাগ মানুষ। নেসিকে নিয়ে রচিত হতে থাকে সাহিত্য।

পরে তাকে নিয়ে তোলা হয় সিনেমাও। আমাদের বাংলা সাহিত্যেও হানা দিযেছে নেসি। প্রেমেন্দ্র মিত্রের উপন্যাস ‘মান্ধাতার টোপ ও ঘনাদা’ এই জলদানবকে নিয়েই লেখা। খবর এবেলার।


অপরূপ লক নেস। ছবি: সম্বিত পাল

ডায়ানা টর্নার নেসির মিথ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। ভিডিও-য় তিনি তাক করেছিলেন, যদি নেসিকে দেখা যায়। নেসি তাঁকে হতাশ করেনি বলেই দাবি ডায়ানার। তাঁর চোখে নেসি রীতিমতো ধরা পড়েছে বলেই তিনি জানান।

এই সংবাদ আপাপতত একাধিক আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিও-র যে অংশে নেসিকে দেখা গিয়ছে বলে ডায়ানা দাবি করছেন, সেটিকে তিনি চিহ্নিত করেছেন। এখানে রইল সেই ছবি।


ডায়ানার চিহ্নিত সেই স্টিল। সৌজন্য: লক নেস ডট ইউকে

লক নেস-এর এই বিখ্যাত দানবকে লক্ষ করার জন্য সেখানে রীতিমতো একটি সংস্থা কার্যকর রয়েছে। অফিসিয়াল লক নেস সাইটিংস রেজিস্টার-এর কিপার গ্যারি ক্যাম্পবেল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রায় ২ মিনিট ধরে নেসিকে দেখা গিয়েছিল।


১৯৩৪ সালে তোলা নেসির বিতর্কিত ছবি। সূত্র: উইকিপিডিয়া

প্রসঙ্গত, ২০১৭-এ নেসিকে এই নিয়ে ৯ বার দেখা গিয়েছে বলে জানাচ্ছে অফিসিয়াল লক নেস সাইটিংস রেজিস্টার। প্যারানর্মাল বিশেষজ্ঞ ও ক্রিপ্টোজুওলজিস্টদের মতে, নেসি এক জুরাসিক যুগের প্রাণী। সে এক উভচর ডাইনোসর। সে প্লেসিওসর প্রজাতির প্রাণী বলেই বেশির ভাগ মানুষের ধারণা।

তবে, ৫৬৫ সাল থেকে ২০১৭— এই দীর্ঘ কালপর্বে একটি দানবই যে দেখা দিয়েছে, এমনটা হতে পারে না। অনুমান, এই হ্রদ, তার মধ্যে ডুবে থাকা গুহা ও হ্রদের সঙ্গে সমুদ্রের সংযোগ রক্ষাকারী ভূগর্ভস্থ টানেলের কোথাও এরা থেকে গিয়েছে বিবর্তন আর অভিযোজনকে উপেক্ষা করে, যেভাবে মাদাগাস্কার উপকুলে টিকে রয়েছে জুরাসিক জলজন্তু সিলাকান্থ।

https://www.youtube.com/watch?time_continue=365&v=WR-mNHIsBf4

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.