আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ ডিসেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার |

kidarkar

পুঁজিবাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কতোটা আশাবাদী দেখে নিন

bsec-bbশেযারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড প্রদানে আর্থিক খাতের মধ্যে সেরা ব্যাংক। কারণ এ ক্ষেত্রে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমার থেকেও যোজন যোজন এগিয়ে রয়েছে ব্যাংক।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মো: আখতারুজ্জামানের ‘ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি জুলাই, ২০১৭ থেকে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত তিন মাসের হিসাবে করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে গবেষণায় বলা হয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে  দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজিবাজারেএখনও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। এদিকে বর্তমানে প্রোডাক্টিভ অর্থায়নে ব্যাংকগুলোই এখনও সরব রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকের পক্ষে দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়ন সম্ভব না। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংক খাতে ঝুঁকি বেড়েছে। এমন অবস্থায় প্রোডাক্টিভ অবকাঠামো ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের সক্ষমতা বাড়াতে বিকশিত পুঁজিবাজারের বিকল্প নেই। আর বিকশিত পুঁজিবাজার গড়তে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) পদক্ষেপ নিতে হবে। করপোরেট সুশাসন, ভাল কোম্পানিকে শেয়ার কিংবা বন্ড ছেড়ে পুঁজি উত্তলনে উৎসাহী করা এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরো সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্যবিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

গবেষণায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতে ডিভিডেন্ড প্রদানের হার (ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড) ৪.৬১। ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড ২.৪৪ এবং বীমায় ৩.১৬।

এদিকে মূল্য আয় অনুপাতে (পিই রেশিও) হিসাবে ব্যাংকের শেয়ার সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। ব্যাংকের পিই রেশিও ১০.৭৩। ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পিই রেশিও ২৪.৩৬ এবং বীমায় ১৪.৭৬।

আলোচিত সময়ে ব্যাংকের মোট ৭০৪ কোটি শেয়ার ১৬ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায় লেনদেন হয়েছে। এই সময়ে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ১৫৭ কোটি শেয়ার ৫ হাজার ৫১৯ কোটি টাকায় এবং বীমার মোট ৩৭ কোটি শেয়ার ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকায় লেনদেন হয়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে ৩০টি ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ছেড়ে মোট ২৫ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত যার বাজার মূল্য ৭২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

একই ভাবে ২৩টি ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার থেকে মোট ৪ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে যার বাজার মূল্য ২৫ হাজার ২২৪ কোটি টাকা।

৪৭টি বীমা বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ছেড়ে মোট ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত যার বাজার মূল্য ৯ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।

এদিকে আলোচিত সময় শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড ৩.১৭ এবং পিই রেশিও ১৬.৩১।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.