আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

আম্পায়ার তুমি কার? ম্যাশ vs সাকিব,বসুন্ধরা vs বেক্সিমকো

bpl_bg_433367300_6080শেয়ারবাজার রিপোর্ট: অবশেষে নানা বিতর্কের পর কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে ঢাকার মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স। তবে আজ বাজে আম্পায়ারিংয়ে শিকার হয়েছেন উভয় দলই। শুধু আজকেই নয় পুরো বিপিএল জুড়েই আম্পায়ার বিতর্কে জড়িয়েছেন সবাই। রুবেলের বলে তামিমের ক্লিন এলবিডব্লিউ হলেও আম্পায়ারের সাড়া না দেয়া কিংবা রংপুরের ওয়াইড বল রাইট বলে পরিণত করা ইত্যাদি বিষয়গুলো উভয় দলকে ভোগানোর  পাশাপাশি দর্শককেও ভুগিয়েছে। তাই কালকের ফাইনালে আম্পায়ার কার পক্ষ নেবে এমন প্রশ্ন ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে এসেছে। একদিকে মাশরাফি অন্যদিকে সাকিব আল হাসান। আবার মালিকানার দিক থেকে একদিকে বসুন্ধরা গ্রুপ অন্যদিকে বেক্সিমকো। আম্পায়ারিংয়ের এমন বিতর্ক থাকলেও কাল ফাইনালের মতো ম্যাচে আম্পায়াররা সঠিক ভূমিকা পালন করবে এমন প্রত্যাশা করছেন সবাই।

এদিকে আজকের খেলায় রংপুরের ১৯৩ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৫৬ রানে অল আউট হয় কুমিল্লা। ৩৬ রানের বড় জয়ে প্রথমবারের মত বিপিএলের ফাইনালে জায়গা করে নেয় মাশরাফির রংপুর।

রংপুরের দেয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্য ব্যাট করছে তামিম ইকবালের দল কুমিল্লা। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলার চেস্টা করতে থাকে লিটন-তামিম জুটি।

তবে ভাগ্য কথা বলছিলো কুমিল্লার হয়ে। রংপুরের বাজে ফিল্ডিং ও আম্পারিংয়ের ভুলে সুযোগ পায় কুমিল্লার দুই ওপেনার। সুযোগ পেয়ে রংপুরের বোলারদের হয়ে বাউন্ডারি খুঁজে পায় তামিম ইকবাল।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রংপুরের কাপ্তান মাশরাফির হাত ধরেই সাজঘরে ফিরে যান তামিম। ১৮ বলে ৩৬ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংস খেলে গাজির ক্যাচে পরিনত হন তিনি। দলের স্কোর তখন পাঁচ ওভারে এক উইকেটে ৫৪ রান।

নতুন ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ক্রিজে এসে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারেন। সোহাগ গাজিকে স্টেপ আউট করে মারতে এসে দৃষ্টিকটুভাবে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার এই বাঁহাতি।

তবে লিটন ও মালিকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় কুমিল্লা। অন্যদিকে রান আটকে চাপ বাড়াতে থাকে রংপুর। সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হয়নি মাশরাফিদের। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুলকে স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হন মালিক।

২৮ বলে ৩৯ রান করে আউট হন লিটন দাসও। ক্রিজে আসা নতুন দুই ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলস ও জস বাটলার রান রেটের সাথে পাল্লা দেয়ার চেস্টা কর। শুরুর দিকে সময় নিলেও ইংলিশ ম্যান জস বাটলার বিধ্বংসী রূপ ধারন করলে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরে আসে।

তবে রংপুরের চতুর বোলিং ও বাজে আম্পায়ারিংয়ের মিশেলে কুমিল্লার জয় কঠিন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে রান রেটের চাপে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে অল আউট হয় কুমিল্লা।

পেসার উদানা ও রবি বোপারা দুটি করে উইকেট নেন। সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন রুবেল হোসাইন।

 

 

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.