আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

ডিএনসিসির ১৮ ওয়ার্ড নিয়ে জটিলতায় ইসি

ecশেয়ারবাজার ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের সঙ্গে ১৮ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মেয়াদ হবে আড়াই বছর অর্থাৎ মেয়রের মেয়াদের সঙ্গে কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হবে।

এসব বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনের কোন জটিলতা নেই। আমরা মেয়রের সঙ্গে নতুন ১৮ ওয়ার্ডে নির্বাচন দেয়ার পরিকল্পনা করছি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর কমিশন সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত না কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।”

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন সঙ্গে ১৮ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন দিলে তাদের মেয়াদ কত বছর হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়রের সঙ্গে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মেয়াদও শেষ হবে। অর্থাৎ বাকি প্রায় আড়াই বছর সময় পাবে নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।

আইন অনুযায়ী কাউন্সিলদের মেয়াদ ৫ বছর থাকে সেক্ষেত্রে আড়াই বছর পর যদি তারা মামলা করে তখন কমিশন কি করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কমিশন বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আইনে কোন পরিবর্তন প্রয়োজন হলে কমিশন ভেবে দেখবে।

ইসি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। আওয়ামী লীগের সমর্থনে ওই নির্বাচনে দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক।

প্রায় দুই বছর ধরে ওই দায়িত্ব পালনের মধ্যেই চলতি বছর জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকে শপথ নেওয়া জনপ্রতিনিধিদের। এ নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীর মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের এপ্রিলে। মেয়র পদে নতুন যিনি আসবেন, তিনি মেয়াদের বাকি অংশটুকু দায়িত্ব পালন করবেন।

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ঢাকা উত্তরে নির্বাচনে কোন জটিলতা নেই। স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে সঙ্গে নির্বাচন করার জন্য একটি পত্র কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ের নির্বাচন আছে তার সবই এখন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে। ডিএনসিসিতেও প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানায়, গত ৩০ নভেম্বর আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর ১ ডিসেম্বর মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ উপ-নির্বাচন করতে হচ্ছে ইসিকে। মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করার গেজেট হাতে পাওয়ার পর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসি সচিবালয়।

ইসি কর্মকতারা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এজন্য পরীক্ষার মাঝে ভোট করার জন্য একটি উপযুক্ত সময় চিন্তা করা হচ্ছে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে একটি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া লাগতে পারে। এক্ষেত্রে ভোটের জন্য ৪৫ দিন হাতে রেখে তফসিল দেবে কমিশন। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

নির্বাচন কশিন সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর সিটিতে যুক্ত হয়েছে আট ইউনিয়নের ১৮ টি ওয়ার্ড। এসব ওয়ার্ডের ১০ লাখ ভোটার সিটি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেতে পারেন। ২০১৫ সালের এপ্রিলের নির্বাচনে ঢাকা উত্তরের ওয়ার্ড ছিল ৩৬ টি এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫৪টি।

যেসব ইউপি থেকে ওয়ার্ড করা হয়েছে, বাড্ডা ইউনিয়ন নিয়ে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, ভাটারা ইউনিয়নে ৩৯ ও ৪০ ওয়ার্ড, সাঁতারকূল ইউনিয়ন নিয়ে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড, বেরাইদ ইউনিয়নে ৪২ নম্বর ওয়ার্ড, ডুমনি ইউনিয়নে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তরখান ইউনিয়নে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণখান ইউনিয়নে ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড এবং হরিরামপুর ইউনিয়নে ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.