নাহির অপেক্ষায় বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: এমনিতেই আইপিও’র বাজার আগের মতো সরগরম নেই। মাঝে মধ্যে ১০ টাকার কোনো শেয়ার আসলে ভালোই মুনাফা করা যায়। কিন্তু সবকিছু ঠিক থাকার পরও লেনদেন শুরুতে কালক্ষেপণ করা হলে একদিকে যেমন ধৈর্য্য হারিয়ে যায় অন্যদিকে স্টক এক্সচেঞ্জের ওপর বিরক্তি চলে আসে। কথাগুলো বলছিলেন নিয়মিত প্রাইমারি মার্কেটের ব্যবসায়ী মো: সোহেল খান। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিনিয়োগকারীর সাক্ষাতকার নেয়ার সময় লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের এই বিনিয়োগকারী জানান, নাহি অ্যালমুনিয়ামের শেয়ার বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে পৌছে গেছে। স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকেও তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ কোম্পানিকে ঘিরে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও কোনো নেতিবাচক ইস্যু নেই বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তবুও কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন চালু করা হচ্ছে না। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে সোহেল খান।
এদিকে নাহি অ্যালমুনিয়ামের বিষয়ে কোম্পানির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নাহি অ্যালমুনিয়ামের বিষয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে যেসব সহায়তা চাওয়া হয়েছে সবগুলোই কোম্পানির পক্ষ থেকে করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আইপিও’র শেয়ার সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট করা হয়েছে। এখন স্টক এক্সচেঞ্জ চাইলেই লেনদেন শুরুর তারিখ নির্ধারণ করতে পারে। তবে লেনদেন চালুতে বিলম্ব হলে আইপিও থেকে উত্তোলিত অর্থও কোম্পানিও পাচ্ছে না। এতে কোম্পানিরও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
নাহি অ্যালমুনিয়ামের বিষয়ে গঠিত ডিএসই’র তদন্ত কমিটির একজন্য সদস্য শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, নাহি অ্যালমুনিয়ামের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে নেতিবাচক কোনো ইস্যু ছিল না। সম্প্রতি নাহি অ্যালমুনিয়ামের লেনদেন চালুর বিষয়ে ডিএসইতে মিটিং হয়েছে। কিন্তু কবে লেনদেন চালু করা হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে আশা করা যায় শিগগিরই কোম্পানিটির শেয়ার দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন করবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার প্রকৌশল খাতের কোম্পানি নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেলকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ। ঐদিনই ১৬ নভেম্বর সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয় নাহি অ্যালুমিনিয়ামের আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার। এর আগে গত ২৭ জুলাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬০৮তম কমিশন সভায় এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন হয়।
জানা যায়, কোম্পানিটি বাজারে ১ কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার (প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে) ছেড়ে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর এ টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণ, নতুন ম্যাশিনারিজ আমদানি, বিল্ডিং নির্মাণ, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করা হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা