আজ: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার |

kidarkar

ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ে পুঁজিবাজারে ঢিমেতাল

bazarশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে ডিসেম্বর  ক্লোজিংয়ের প্রভাব পড়েছে। টানা দুই সপ্তাহ ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেন খড়া চলছে। ডিসেম্বর মাস এলেই ব্যাংকগুলোর লেনদেন অনেক কমে যায়। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও হিসাব নিকেশ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যে কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে হচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তবে ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই’র  সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ০.২৯ শতাংশ বা ১৮.২১ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ০.৭৫ শতাংশ বা ১৬.৮৯ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ০.৯২ শতাংশ বা ১২.৮৫  পয়েন্ট।

আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি কোম্পানির শেয়ার দর । আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ২ হাজার ১৭৭ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৭৮১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এর আগে সপ্তাহে ৩ হাজার ১১ কোটি ৩০ লাখ ২৬ হাজার ৯২৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৮৩৩ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ১৪৫ টাকা বা ২৭.৬৯ শতাংশ।

আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৩.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮২৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮১ টাকার। তবে এর আগের সপ্তাহে ২ হাজার ৭০১ কোটি ৭৫ লাখ ২৩ হাজার ৯২৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৮৭৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৫ টাকা।

‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৭.২৪ শতাংশ। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার টাকার। তবে এর আগের সপ্তাহে ৯৪ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।  সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৬৩ কোটি ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার  টাকা।

‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ‘এন’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকার। তবে এর আগের সপ্তাহে ১২৩ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৩৭ কোটি ১৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

সর্বশেষ ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ৪.৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১০৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকার। তবে এর আগের সপ্তাহে ৯১ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।  সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।

সপ্তাহশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ০.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১৬৪৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়ার ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১৪০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার দর। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ১৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। তার আগের সপ্তাহে সিএসইতে ১৩৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩১ হাজার ২৮৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে ৮ কোটি ৭১ লাখ ৫২ হাজার ২৪৩ টাকা বেড়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.