তারল্য সংকটে পুঁজিবাজারে লেনদেনে খরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে বর্তমানে তীব্র তারল্য সংকট চলছে। আর এই সংকটের কারণে দৈনিক লেনদেন থেকে সাপ্তাহিক লেনদেনেও খরা চলছে। প্রতি সপ্তাহেই ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের পরিমাণ কমে আসছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসই’র সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক ০.৭৬ শতাংশ বা ৪৭.২৩ পয়েন্ট কমে ৬১৮২.৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে । সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক ০.৭১ শতাংশ বা ১৫.৯৯ পয়েন্ট কমে ২২৩১.১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক ০.৭৩ শতাংশ বা ১০.০২ পয়েন্ট কমে ১৩৬৬.৫৬ পয়েন্ট অবস্থান করছে ।
আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি কোম্পানির শেয়ার দর । আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার ১৫৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এর আগে সপ্তাহে ২ হাজার ১৭৭ কোটি ৫৯ লাখ ০৭ হাজার ৭৮১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ১০ লাখ ১১ হাজার ৬২৫ টাকা বা ১.৮০ শতাংশ।
আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭.৭৭ শতাংশ। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৭৬ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার ১৫৬ টাকার। তবে এর আগের সপ্তাহে ১ হাজার ৮২৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৪৮ কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার ৩৭৫ টাকা।
‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৪.২২ শতাংশ। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার। তবে এর আগের সপ্তাহে ১৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪.৬০ শতাংশ। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ‘এন’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ৪৭ লা্খ ৭১ হাজার টাকা। তবে এর আগের সপ্তাহে ৮৬ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি ২৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
সর্বশেষ ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ৩.৪০ শতাংশ। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। তবে এর আগের সপ্তাহে ১০৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৩২ কোটি ৫৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
সপ্তাহশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ০.৭৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১৫৫৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়ার ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৮৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার দর। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ১৩৭ কোটি ৯৪ লাখ ১২ হাজার ৯২৭ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। তার আগের সপ্তাহে সিএসইতে ১৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেনে কমেছে ৮ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার ৬০৫ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা