বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে চায় সামিট পাওয়ার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশনে (এমএ) পরিবর্তন এনেছে সামিট পাওয়ার লিমিটেড। এর ফলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ছাড়াও অন্য যেকোনো দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে সামিট। তবে এর জন্য সরকারের কাছে অনুমোদন নিতে হবে কোম্পানিটিকে।
গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটিশনে আয়োজিত শেয়ারহোল্ডারদের বিশেষ সাধারণ সভায় (এজিএম) কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশনে এ পরিবর্তন আনে সামিট। অনুষ্ঠানে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. লতিফ খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জে. (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল ওয়াদুদসহ কোম্পানির পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সামিট গ্রুপের কোম্পানি সচিব স্বপন কুমার পাল বলেন, কোম্পানির বিদ্যমান মেমোরেন্ডাম অনুযায়ী বিআরইবি ও পিডিবি ছাড়া অন্য কারো জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমোদন নেই সামিট পাওয়ারের। কোম্পানির ব্যবসা পরিধি বাড়াতে মেমোরেন্ডামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইজিএমে এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমতি নেয়া হয়েছে। সুযোগ হলে এখন থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসাপেক্ষে দেশী-বিদেশী যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে সামিট।
তিনি আরো বলেন, ১৯৮৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোম্পানি মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশনের ১ ও ১৩ ক্লজ পরিবর্তনের ফলে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি দেশের বাইরে যেকোনো জায়গায় ভূমি অধিগ্রহণ, সংস্কার, কারখানা স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে সামিটের জন্য। কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসাপেক্ষে বিদ্যুতের ব্যবসা বাড়াতে এসব কাজ করতে পারবে কোম্পানি।
জানা গেছে, সামিট পাওয়ার দেশে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৩টি বিদ্যুৎ প্লান্ট রয়েছে সামিট পাওয়ারের। বর্তমানে বিআরইবি ও পিডিবির জন্য ৪৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে কোম্পানিটি। গ্রুপ হিসেবে জাতীয় গ্রিডে ১ হাজার ৪৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সামিট। এছাড়া গাজীপুরের কড্ডায় সামিট পাওয়ারের ৪৪৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি সূত্র।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে সামিট পাওয়ারের পরিচালনা পর্ষদ। ১৮ মাসে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭৫ পয়সা। ১২ মাসে সমাপ্ত আগের হিসাব বছরে তা ছিল ৩ টাকা ৩৬ পয়সা (বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর)। ৩০ জুন সামিট পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২৯ টাকা ২ পয়সায়।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সামিট পাওয়ারের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় একই অবস্থানে ছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ২৮ পয়সায়।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ