পুঁজিবাজারের প্রধান সমস্যা ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট:ডিএসই
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে তার দ্রুত সমাধান চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই।
এছাড়া বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়নে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স সংক্রান্ত জটিলতার নিরসন, শধুমাত্র শতাংশের হিসাবে সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ, প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আিইপিও) মাধ্যমে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কিছু নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই।
বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে এক জরুরি সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালা সাংবাদিকদের এসব প্রস্তাবের কথা জানান।
বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ড.এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনার মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, আরিফ খান, মো. সালাম শিকদারসহ ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট নিয়ে স্বপন কুমার বালা সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া এক্সপোজার লিমিট নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে সিঙ্গেল এক্সপোজার ইক্যুইটির ২৫ শতাংশ ও কনস্যুলেটেড এক্সপোজার ইক্যুইটির ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে; যা আগামী বছরের ২১ জুলাইয়ের পরে আইনে বাস্তবায়ন হবে। আবার কিছু জায়গায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনেই বলা আছে যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু জিনিস এক্সপোজারে আসবে না। এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। এ নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে বসার জন্য চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, মার্কেটের মূল সমস্যার একটা বড় সমস্যা বলা হয় ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি বা যারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারীর মধ্যে পড়ে। এখানে ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিটে একটি বড়ো বাধা আসে। যা পুঁজিবাজারে এক নম্বর সমস্যা। যদি বাজারে কোনো সিকিউরিটিজের দাম বেড়ে যায় তবে এদের এক্সপোজার বেড়ে যায়। কারণ এটা মার্ক টু মার্ক অ্যাকাউন্টিং ফলো করা হয়। আবার ট্রেড না করলেও দর বাড়ার কারণে এক্সপোজার বাড়ে। এর দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।
আইপিও বিষয়ে তিনি বলেন, আইপিও ব্যাপারে আমরা নতুন কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। যেমন- এখানে প্রথম ৫ দিন প্রাইজ লিমিট ওপেন থাকে। অন্যদিকে একটা কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলে তা মাত্র একদিন ওপেন থাকে। কিভাবে এটাকে সমন্বয় করা যায় এটা কমিশন বিবেচনায় আনবেন। আবার নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির আগে নিয়মিত বার্ষিক সধারণ সভা (এজিএম) করে না। তাদেরকে আমরা প্রথমে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে দিয়ে থাকি। আবার নিবন্ধিত কোম্পানি যারা নিয়মিত এজিএম করতে পারেনা; তাদেরকে দেওয়া হয় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। এই বিষয়টিও সমন্বয়ের জন্য আলোচনা হয়েছে।
সার্কিট ব্রেকার নিয়ে বালা বলেন, সার্কিট ব্রেকারে দুই ধরণের ফিগার থাকে। একটা অ্যাবস্যুলেট ফিগার ও আর একটা পার্সেন্টেজ। আমরা বলেছি যে এটা শুধু পার্সেন্টেজে নিয়ে আসা যায়।
শেয়ারবাজারনিউজ/তু