আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ জানুয়ারী ২০১৮, শনিবার |

kidarkar

৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন আইসিবি’র কর্মচারীরা

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: জমি কেনা, বাড়ি তৈরি বা বাড়ি সংস্কারের জন্য সরকারি বিনিয়োগ সংস্থা ও পূঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কর্মচারীরা ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন।

ঋণ পাওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে আইসিবিতে স্থায়ী চাকরি থাকতে হবে। অর্থাৎ যোগ দেওয়ার পর অন্তত তিন বছর পার হতে হবে। ঋণের বিপরীতে সুদ দিতে হবে ব্যাংক হারে।

গত ৩১ ডিসেম্বর জারি হওয়া আইসিবি (কর্মচারী) গৃহনির্মাণ অগ্রিম প্রবিধানমালায় এ সুবিধার কথা বলা হয়েছে। এতে সই করেন আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ছানাউল হক। মূল আইসিবির কর্মচারীদের জন্যই এই প্রবিধানমালা প্রযোজ্য। তবে আইসিবির সহযোগী (সাবসিডিয়ারি) কোম্পানিগুলোর কর্মচারীরা এই সুবিধা পাবেন না।

আইসিবিতে স্বামী-স্ত্রী চাকরি করলে একই জমির বিপরীতে ঋণ পাবেন একজন। তবে আলাদা জমির বিপরীতে আলাদা ঋণ মঞ্জুর করার সুযোগও রাখা হয়েছে। সংস্থাটিতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা কোনো ঋণ পাবেন না।

মেট্রোপলিটন ও সব সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য সরকারি বেতনকাঠামোর ১ থেকে ৫ নম্বর গ্রেডের কর্মচারীরা ঋণ পাবেন ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত। জেলা শহর বা পৌর এলাকার জন্য ঋণের সীমা ৮০ লাখ টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ের জন্য ৭০ লাখ টাকা।

বেতনকাঠামোর ৬ থেকে ৯ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ঋণ পাবেন মেট্রোপলিটনে ৮৫ লাখ টাকা, জেলায় ৭৫ লাখ টাকা ও উপজেলায় ৬৬ লাখ টাকা। এভাবে তিন পর্যায়ে ১০ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৭০, ৬২ ও ৫৫ লাখ টাকা; ১১ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৬২, ৫৫ ও ৪৮ লাখ টাকা; ১২ ও ১৩ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৫৫, ৫০ ও ৪৫ লাখ টাকা; ১৪ থেকে ১৭ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৫০, ৪৫ ও ৪০ লাখ টাকা এবং ১৮ থেকে ২০ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৪৫, ৪০ ও ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন।

ঢাকা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় জমি কিনতে ১ থেকে ১০ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীদের প্রথম কিস্তিতে অগ্রিম ঋণ দেওয়া হবে সীমার ৬০ শতাংশ। আর জেলা পর্যায়ের জন্য ৫০ শতাংশ এবং উপজেলা পর্যায়ের জন্য ৪০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হবে। ১১ থেকে ২০ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীদের দেওয়া হবে ৬০ শতাংশ। প্রথম কিস্তির পর বাকি ঋণ দেওয়া হবে তিনটি সমান কিস্তিতে।

গ্রুপভিত্তিক ঋণেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং গ্রুপ হতে হবে ২ থেকে ১০ জনের মধ্যে। গ্রুপের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা থাকলেও ঋণ দেওয়া হবে না। ঋণ দেওয়ার এক বছর পর থেকে কিস্তি নেওয়া শুরু হবে। তবে তৈরি ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে শুরু হবে ছয় মাস পর থেকে।

প্রবিধানে বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী চাকরিতে থাকা অবস্থায় মারা গেলে পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে সুদ মওকুফের প্রস্তাব করতে পারবে আইসিবির পরিচালনা পর্ষদ।

বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৬৮ কোটি কর-পরবর্তী মুনাফা অর্জন করেছে। আগের বারের মুনাফা ছিল ৩১৩ কোটি টাকা এবং তার আগের বারের মুনাফা ছিল ৪০৬ কোটি টাকা।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.