স্টিফেন হকিং এর মৃত্যু নিয়ে রহস্য!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত জীবিত বিজ্ঞানীর নাম কী? কোনও সন্দেহই নেই, অধিকাংশ মানুষই বলবেন স্টিফেন হকিংয়ের নাম। কিন্তু যদি শোনা যায় তিনি আর ‘জীবিত’ নন! কেবল তাই নয়, তাঁর মৃত্যু হয়েছে আজ থেকে ৩২ বছর আগে? এমনই অবিশ্বাস্য দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ‘মেলঅনলাইন’ নামের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা পৃথিবীতে একটি গোষ্ঠী আছে, যারা বিশ্বাস করে হকিং আর বেঁচে নেই। তাদের দাবি, ১৯৮৫ সালেই মারা গিয়েছেন ‘সেন্টার ফর থিয়োরিটিক্যাল কসমোলজি’-এর ডিরেক্টর বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী হকিং।
এই তত্ত্বকে বলা হচ্ছে ‘কন্সপিরেসি থিয়োরি’ অর্থাৎ ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব। সেই তত্ত্বতে বলা হচ্ছে, হকিং মারা গেলে তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনতে চাননি কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও বিজ্ঞানী। তাঁরা হকিংয়ের স্থানে সমদর্শী এক ‘পুতুল-প্রফেসর’কে বসিয়ে দেওয়া হয়! গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তাকেই ‘আসল’ হকিং ভেবে এসেছে সারা বিশ্ব। বেশ কিছু যুক্তি দেখানো হয়েছে এই যুক্তির সপক্ষে।
বলা হচ্ছে, যে দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত হকিং, তাতে মানুষ চার বছরের বেশি বাঁচে না। ১৯৬৩ সালে এই রোগ ধরা পড়ে হকিংয়ের। অর্থাৎ তিনি বেঁচে রয়েছেন ৫৫ বছর। যা অসম্ভব বলেই তাঁদের দাবি।
এ ছাড়া দেখা গিয়েছে ১৯৮২ সালে তাঁকে যেমন দেখতে ছিল, এখন যেন তার চেয়েও কমবয়সী লাগে। এমনকী, তাঁর নীচের চোয়ালের দাঁতও যেন আগের থেকে লম্বা হয়ে গিয়েছে!
কম্পিউটারের সাহায্যে গলার স্বর বাইরে আসে কিংবদন্তি বিজ্ঞানীর। দাবি করা হয়েছে, এই কণ্ঠস্বর দূর থেকে প্রয়োগ করা হয়। সেটা নিয়ন্ত্রণ করে নাসা!
হকিংয়ের প্রথম বিয়ের ছবিতে তাঁকে অনেক স্বাভাবিক দেখিয়েছে। তুলনায় দ্বিতীয় বিয়ের ছবিতে বয়স যেন অনেকটা বেশি বলে মনে হয়েছে। এই অদ্ভুত দাবিকে ঘিরে আলোড়িত সারা বিশ্ব।
হকিংয়ের ক্ষেত্রে আসল সত্যি কী, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু এই আশ্চর্য দাবি যে প্রায় এক কল্পবিজ্ঞান গল্পের প্লট বলে মনে হচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু