আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ জানুয়ারী ২০১৮, মঙ্গলবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব: গভর্নরের সঙ্গে বসবে স্টেকহোল্ডাররা

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে যেভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করতে গভর্নরের সঙ্গে ‌বসতে চায় পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডাররা। শিগগিরই গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।

আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় শীর্ষক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোশতাক আহমেদ সাদেক সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হলো মানি মার্কেটের রেগুলেটর। পুঁজিবাজারে মানি মার্কেটর অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। কিছু হলেই তারা একটি সার্কুলার দিয়ে দেয়। যার নেতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারেও পড়ে। কোন প্রকার আলোচনা ছাড়া সার্কুলার যাতে বাংলাদেশ ব্যাংক না দেয়, সেই অনুরোধ আমরা করছি।

মোশতাক আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোর কিছু ফান্ড থাকে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর কাছে। ওই ফান্ডগুলো তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালে এসব ফান্ডের অংশবিশেষ তুলে নেওয়ার বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। কিন্তু এতো দিন এই সার্কুলার বাস্তবায়নে তারা কিছু বলেনি। এখন হঠাৎ বিষয়টি নিয়ে তারা নড়েচড়ে বসেছে। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আইসিবিকে নিয়মিত শেয়ার বিক্রি করতে হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার শেয়ার আইসিবি বিক্রি করেছে। তবে সামনের দিকে আর বিক্রি হবে না বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সার্কুলার তুলে নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও তারা বৈঠক করবেন। আরেকটি বিষয় হলো এক সময় বিদেশী ব্যাংকগুলো ৪/৫ শতাংশ সুদে আমাদের দেশে ঋণ দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নীতির কারণে তারা এখন আর ঋণ দিতে পারছে না। ফলে দেশী ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এমন অবস্থায় ঋণের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অনেক দেশি ব্যাংক তার ঋণ-আমানত অনুপাতের (এডিআর রেশিও) সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এতে আমানতের সুদের হার বাড়ছে। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্রের সুদ হার বেশি। ফলে নতুন বিনিয়োগ বাজারে আসছে না। এরও একটি নেতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়ছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলরে মধ্যে সমন্বয় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন,আজকের বৈঠকের অন্যতম একটি বিষয় ছিল বাজারের দূর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা। এর মধ্যে আমাদের কাছে প্রধান মনে হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো সার্কুলার দেওয়ার আগে বিএসইসির সঙ্গে আলাপ করার কথা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা মানছে না।

তিনি বলেন, বরাবর দেখে আসছি মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের নেতিবাচক কিছু থাকে না। এবারো যাতে নেতিবাচক কিছু না থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সেই দাবী জানাচ্ছি।

আজকের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হকসহ বিএমবিএ ও ডিবিএর নেতারা।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.