আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, শনিবার |

kidarkar

আতঙ্কে বিনিয়োগকারীদের লোকসান ৯ হাজার কোটি টাকা

শেয়ারবাজার রিপোর্টঃ সপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ইতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৪দিনই কমেছে সূচক। বাকি এক কার্যদিবস কমলেও এর মাত্রা ছিলো সামান্য। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উভয় শেয়ারবাজারে প্রায় সব ধরনের সূচক কমেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি ৮১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আর গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমান ১২.১৭ শতাংশ কমেছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে মুদ্রানীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখন বেশ আলোচনা চলছিলো। বাজারে সরাসরি মুদ্রানীতির খুব বেশি প্রভাব না থাকলেও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবেই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। মুদ্রানীতি সামনে রেখে একটি গোষ্ঠী গতসপ্তাহে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে ফায়দা লুটছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে হাতের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। যার কারণে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে বাজারে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৮ কোটি ৫৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ  ছিল ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৯ কোটি ৭৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা। সে হিসেবে সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ১৪১ কোটি ২১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বা ১৯৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ৭৬ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ বা ৩৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ২৪৬ কোটি ৭১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২৭৩ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৭৮৫ টাকা বা ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ।

আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ।

সপ্তাহশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই)সার্বিক সূচক সিএসইএক্স ৩২১ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ২.৭৭ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়ার ২৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ২৩১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দর। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ২৪৪ কোটি ৭২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.