১৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিএসইসির অ্যাকশন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন নিশ্চিত না করায় ৩ কোম্পানি, এক ব্রোকারেজ হাউজ ও ৪ ব্রোকারেজ হাউজের গ্রাহককে সর্তক করার পাশাপাশি ৭ সিকিউরিটিজ হাউজকে আর্থিক জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে তাদের এ জরিমানা ও সর্তক করে বিএসইসি। এছাড়াও এক সিকিউরিটিজ হাউজের জরিমানার পরিমাণ কমিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনফোর্সমেন্ট বিভাগ জানায়, সিকিউরিটিজ আইন সঠিকভাবে পরিপালন নিশ্চিত না করায় আমরা টেকনোলজি, তাল্লু স্পিনিং, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, সিটি ব্রোকারেজ, রেপিট সিকিউরিটিজের গ্রাহক হিরোনময় দে, ডিএমআর সিকিউরিটিজের গ্রাহক সামিন কুমার দে, এবি সিকিউরিটিজের গ্রাহক মো. ইকবাল হোসেন, সালতা ক্যাপিটাল লিমিটেডের গ্রাহক মো. আব্দুস সাত্তারকে সর্তক করেছে কমিশন। একই সাথে ভবিষ্যতে এ ধরণের কার্যকলাপে লিপ্ত হলে আর ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করা হয়।
এদিকে, নন মার্জিনেবল ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়, মার্জিন ঋণ সুবিধা দিয়ে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় সার্প সিকিউরিটজকে ২৫ লক্ষ টাকা, এ.এন.এফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে ২০ লক্ষ টাকা, মিরর ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে ৩ লক্ষ, সাদ সিকিউরিটিজকে ২০ লক্ষ, সোহেল সিকিউরিটিজকে ৫ লক্ষ, পিএফআই সিকিউরিটিজকে ২৫ লক্ষ, এম সিকিউরিটিজকে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।
এছাড়া সিকিউরিটিজ আইন অমান্য করায় এম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মো. নুরুল আজমকে ১০ লক্ষ টাকা এবং হাউজটির গ্রাহক মিস. জাকিয়া চৌধুরীকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।
অন্যদিকে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ আইন ১৯৬৯ এর ২৬ ধারা মতে আজম সিকিউরিটিজের জরিমানার পরিমান ৫ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ১ লাখ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। গত ২২ জানুয়ারি কমিশন এ বিষয়ে সিকিউরিটিজ হাউজকে চিঠি প্রেরণ করে। এছাড়া পত্র পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে কমিশনের অনুকুলে ট্রান্সকম সিকিউরিটিজ হাউজকে জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর